সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শীতের আগমন উপলক্ষে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা আর সাত সকালে ঘাস, লতাপাতার ওপর জমে থাকা শিশির বিন্দু জানিয়ে দেয় যে ‘শীত এসে গেছে। তৈরি হও শীতবস্ত্র নিয়ে শীত মোকাবেলায়’।
জানা গেছে, উপজেলায় আগাম শীত জেঁকে বসার কারণে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খোশমেজাজে দিন কাটাচ্ছে কারিগর ও লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের কম্বল খোঁজাখুঁঁজি শুরু না হলেও শীত মোকাবেলায় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভীড় করতে শুরু করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদর. চৈতা বাজার, মহিষ কাট বাজার, মির্জাগঞ্জ বাজার , দেউলী বাজার , কাকড়াবুনিয়া বাজার, ভয়াং বাজার, খলিশাখালী বাজারে লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলছে। দিনরাত সমানে ব্যস্ত অর্ডার নেয়া, আর তৈরি করা লেপ-তোষক সরবরাহ করা নিয়ে। বর্তমানে একটি লেপ বানাতে খরচ নেয়া হচ্ছে ২ হাজার থেকে পঁচিশত টাকা পর্যন্ত।
কারিগররা জানান, কাপড়, সুতা এবং তুলার দাম বেশি হওয়ায় খরচ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি।
মির্জাগঞ্জ মাজার মোড়ে লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. ছোরাফ হোনসন জানান, গতবছর ১৫ শত টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছে এবছর সেটা প্রায় পঁচিশ শত টাকা খরচ পড়ছে। একই কথা জানান সুবিদখালী বাজারের লেপ-তোষক কারিগর পনু বেপারী।
তিনি জানান, প্রকারভেদে গত বছরের চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে একটি লেপ বানাতে।
মির্জাগঞ্জ গ্রামের সুমন জানান, গতবছর ১৫ শত টাকা দিয়ে একটি লেপ তৈরি করেছি, কিন্তু এবার সেই লেপ বানাতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক