ইয়াসিন আরাফাত : সম্প্রতি দেশটির ১০ টি গণমাধ্যম এবং নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত একটি অনুসন্ধানকারী সংস্থা বছরব্যাপী এক জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছিলেন ১২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক। বিবিসি
অনুসন্ধানকারীরা জানান, কানাডায় বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরেও ২০১৫ সালে কিছু শহরে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছিলো। সেই সংকট অনুসন্ধান করতে গিয়ে কানাডার পানীয় জলে উচ্চ মাত্রার সীসার সন্ধান পাওয়া যায়।
তারা আরও জানান, এই অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা ১১টি শহর থেকে প্রায় ১২০০০ নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়া সারা দেশের ৩২ টি শহরের পুরানো বাড়ীতে পানীয় জলের পরীক্ষা করেছিলেন। নমুনা গুলোর এক তৃতীয়াংশতে প্রায় ১৮ শতাংশ সীসা পাওয়া গেছে, যেখানে সরকারি ভাবে দেয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী থাকার কথা ৫ শতাংশ।
তাদের মতে, কানাডার পানীয় জলে সীসার সবচেয়ে বড় উৎস হলো সরকারিভাবে মানুষের বাসা বাড়িতে সংযোগ দেয়া পুরানো পাইপ। ২০১৩ সালের একটি সরকারী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে, সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ বাড়িতে এমন সংযোগ আছে।
এরই মধ্যে অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে কিউবেক প্রদেশ এবং মন্ট্রিল শহরের কর্মকর্তারা জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিউবেকের প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সোইস লেগাল্ট প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, প্রদেশটিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে কানাডার স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওয়াইএ/এসবি
আপনার মতামত লিখুন :