শাহীন খন্দকার, রাজেশ গৌড় : নেত্রকোনার-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বলেছেন, দূর্গাপুর খনিজ সম্পদসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সোমেশ্বরীর অপরুপ ও খনিজ সম্পদের ব্যবহার করে রাজস্ব আয়বৃদ্ধি এবং স্থানীয় খনিজ সম্পদ ব্যাবহার করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজয়পুরের সাদামাটি ব্যাবহারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে টাইলসফ্যাক্টরী, সোমেশ্বরীর সিলিকন বালির সাহায্যে কাচঁশিল্প প্রতিষ্ঠানের চিন্তা রয়েছে বর্তমান সরকারের। বিজয়পুরকে বর্হিবিশ্বের সাথে সামঞ্জ্য রেখে একটি পর্যটন কেন্দ্রসহ বিজয়পুর স্থলবন্দরকে আধুনিকায়ন করা হবে।
সোমেশ্বরীর সিলিকণ বালি নূড়ি পাথর, কয়লাসহ বিজয়পুরের সাদা মাটির খনিজ সম্পদ উত্তোলনের সাথে জড়িয়ে আছে শত শত শ্রমিক-কর্মচারির জীবন-জীবিকা । তারা সেখানে ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালি উত্তোলন এবং কয়লা, নূড়ি পাথর নির্ভর কর্মসংস্থান খুজেঁ নিয়েছে সোমেশ্বরীর নদীতে।
মানু মজুমদার বলেন, এই এলাকার প্রধান খনিজ সম্পদ হচ্ছে- চিনামাটি বা সাদা মাটি। নিচে খনিজ সম্পদের মধ্যে ( ১) চিনা মটি।(২) কাকর মাটি।(৩) নূড়ী পাথর। (৪) কয়লা।
সদুর্গাপুরের অন্যতম আকর্ষণ বিজয়পুর চীনামাটির খনি ছোট বড় টিলা।পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল।
মানু মজুমদার বলেন, ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের ৩শ বছরের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
পাহাড় থেকে মাটি তোলায় সেখানে হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ হ্রদের পানির রঙ নীল। কিছু জায়গায় সবুজাভ নীল। কিছু জায়গায় সাদা,লাল। তবে হ্রদ থেকে পানি তুলে খনন করার জন্য লাল পানি এখন আর নেই। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত এ ভান্ডারে রয়েছে সাদামাটি ( হোয়াইট ক্লে) এবং অবকাঠামো নির্মাণসহ কাঁচ তৈরির একমাত্র উপযুক্ত সিল্কী বালু। সাদামাটি ( হোয়াইট ক্লে) দূর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত।
এ মাটি দিয়ে সিরামিক জাতীয় সামগ্রী নির্মাণ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রাপ্ত সিলিকা বালু অবকাঠামো নির্মাণ ও কাঁচ নির্মাণে অত্যন্ত সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটালে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হতো এবং গড় আয় বৃদ্ধি পেতো।
স্থানীয়ভাবে শিল্প ইন্ড্রাট্রিজ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দূর্গাপুরের খনিজ সম্পদকে স্থানীয়ভাবে শিল্প ইন্ড্রাট্রিজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। উদ্যোগটি বাস্তবায়ণ হলেই দূর্গাপুর কলমাকান্দাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার হাজার হাজার বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :