হ্যাপি আক্তার : উজানে অতি বৃষ্টির কারণে পদ্মায় এখন বইছে প্রায় ২০ লাখ কিউসেক পানি। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, ফারাক্কা ব্যারাজের দরজা খুলে দেয়া নয় বরং পানির প্রবাহ বেশি থাকায় এই হঠাৎ বন্যার কমবলে পড়েছে পদ্মা অববাহিকা। তবে গবেষকরা বলছেন, মৌসুমী বায়ু এখনও সক্রিয় থাকাই এর কারণ। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে বাংলাদেশে আসে ৪০ হাজার কিউসেক পানি। তবে বর্ষায় জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৫ মাস খোলা থাকে ফারাক্কার ১০৯টি গেট। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার উজানে অতিবৃষ্টির কারণে পানির প্রবাহ ছাড়িয়েছে কয়েক লাখ কিউসেক।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ২২ সেপ্টেম্বর ১৫ লাখ ১৪ হাজার, ২৭ সেপ্টেম্বর ১৬ লাখ ৫১ হাজার ও ৩০ সেপ্টেম্বর পানি এসেছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার কিউসেক। তবে ৩ অক্টোবর পদ্মায় এসেছে প্রায় ২০ লাখ কিউসেক পানি। এতেই পাবনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারিপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যা। হার্ডিঞ্জব্রিজ, গোয়ালন্দ, কুমারখালী ও চাঁদপুরে পদ্মার পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বন্যার অবনতি হয়েছে, তথ্যটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ জুলাই মাস থেকেই এই বাঁধ খোলা ছিলো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বছর ১৫ দিন পর বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই অঞ্চলে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকবে। আর এই অকাল বন্যার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।
এবার অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও দোহারে পদ্মার ভাঙ্গন তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান