জাহিদুল কবীর : যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে সোমবার গভীর রাতে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও পুলিশের এক সোর্সের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ওই নারী জানান, শার্শার লক্ষণপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আশাকে গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল তুলে নিয়ে আসে। পরের দিন ২৬ আগস্ট আশার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে।
সোমবার রাত ২টার দিকে এসআই খায়রুল, চটকাপোতা গ্রামের কামারুল, লক্ষণপুর গ্রামের লতিফ ও কাদেরকে নিয়ে আশার বাড়িতে যায়। তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। আশাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসআই খায়রুল তার স্ত্রীর নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও কামারুল ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে আশার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আশার স্ত্রী পরিচিত এক যুবককে সাথে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কার্যালয়ে যান। সাংবাদিকদের কাছে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই নারীকে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের কার্যলয়ে নিয়ে যান।
ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনে এসেছেন। তাকে এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বাইরে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংংবাদিকদের জানান, আমি ভিক্টিমের অভিযোগ শুনেছি। অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।