হ্যাপি আক্তার : আসামের নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়া বিষয়ে ভারত উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত হতে বললেও বাংলাদেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এমনটিই মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক কূটনীতিকরা। ডিবিসি নিউজ ৯:০০
ডিবিসি নিউজের ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে আসাম সংকট নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক কূটনীতিক ও সাবেক বিশ্লেষকরা। এসময় তারা বলেন, আসামের নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্তক থাকতে হবে। পাশাপাশি সীমান্তে নজদারি কঠোর করা পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, যে প্রবণাতা এখন লক্ষ্য করছি, সেটা ভারতে সরকার পরিবর্তন হলেও খুব বেশি পরিবর্তিত হয়ে যাবে তেমনটি মনে করার কারণ নেই। আর তা যদি না হয় তাহলে, এই মুর্হুতে উদ্বেগের কারণ হয়েই আছে। তার সঙ্গে ভবিষ্যতে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল হিসেবে ভবিষ্যতে ব্যবহৃত হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
আসামের নাগরিক ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট ধর্ম নিয়ে রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেও আশঙ্কা করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক এলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, বাংলাদেশের ভেতরে তারাও যুক্ত হবে।
আসামের নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো অতি উৎসাহ দেখানো ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও তাদের।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের শুধু আশ্বস্ত হয়ে বসে থাকলে হবে না। খুব স্পষ্টভাবে ভারতকে মেসেজটি দিতে হবে যে তোমাদের নাগরিকদের নিয়ে যাই করো না কেন, তারা কেউ আমাদের লোক নয়।
আসামের নাগরিক সংকট যতোদিন সমাধান না হবে, বাংলাদেশের ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে বলেনও মনে করেন তারা। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :