শিরোনাম
◈ ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ◈ ইসকন থেকে ৪ মাস আগে বহিষ্কার হন চিন্ময় দাশ ◈ বৃদ্ধির পর ফের দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর ◈ বেগম খালেদা জিয়া'র  সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূত ◈ পরিকল্পিতভাবে একটা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, একদিনে এতগুলো ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না : নাহিদ ইসলাম ◈ শ্রম আইন সংস্কারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অস্থির ঢাকা, শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার ◈ কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির ◈ শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে হবে, না হলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে: মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ◈ জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৭:০৬ সকাল
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৭:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানি এনজিও- স্থানীয় জামায়াত কৌশলে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর অভিযোগ স্থানীয়দের

দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থার নিয়ন্ত্রণহীন কর্মকাণ্ডে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক এনজিও রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেয়ায় তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে। সময় টিভি ১১:০০

রাতের অন্ধকারে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পাহারা দেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জমি নিড়ানোর নামে রোহিঙ্গাদের কাছে ধারালো অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে কক্সবাজারের এনজিও সংস্থা মুক্তি'র কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি আরো ৪১টি সংস্থাকে নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে।

গত ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার পর ২৫ আগস্ট বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউন করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে উখিয়ার কামারশালা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জব্দ করে বিপুল পরিমাণ বটি ও দার মতো ধারালো অস্ত্র। এগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য বানানোর অর্ডার দিয়েছিলো এনজিও মুক্তি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কাছে নানাভাবে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু এবারই তার প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, কিছু কিছু এনজিওদের কার্যক্রম সন্দেহজনক ও প্রশ্নবোধক। যাতে তারা প্রত্যাবাসন না করে এ বিষয়ে তারা উৎসাহিত করছে। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আইন মেনে রোহিঙ্গাদের জন্য নিড়ানি তৈরি করা হচ্ছিলো বলে মুক্তির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও জেলা প্রশাসক তা মানতে নারাজ। কক্সবাজারে মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, জেলা প্রশাসক আর আর সি সহ সংশ্লিষ্ট অফিসার এবং সিআইসিকে এ নিয়ে অবগত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, মুক্তি এনজিও যে দেশীয় নিড়ানি অস্ত্র যেটা সরবরাহ করেছে তাদের অনুমতি নেয়ার ক্ষেত্রে এটা লিখা ছিল না। তাতে লিখা ছিল স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নের জন্য উপকরণ দেয়া।

এদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাকিস্তানি এনজিও- স্থানীয় এনজিও এবং জামায়াত নেতাদের মাধ্যমে কৌশলে চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা শঙ্কিত।

স্থানীয়রা জানান, কোনো না কোনোভাবে ক্যাস্পে অস্ত্র ঢুকে পড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক এনজিও এ ধরনের লোক নিয়োগ দিচ্ছে। এর মধ্যে জামাত-শিবির বেশি।রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। যেভাবে এনজিওগুলো তাদের সক্রিয় করে তুলছে।

এনজিওগুলোকে সরাসরি এনজিও ব্যুরো দেখভাল করে। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভ‚মিকা রাখা যাচ্ছে না বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম।

তিনি বলেন, এখানে কিন্তু এনজিওদের অনুমতি আমরা দেই না, তাদের কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে এনজিও ব্যুরো। যারা অনুমতি পাচ্ছে তাদের শুধু কাজ করার জন্য সহযোগিতা করা হয়।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের বসবাস। এসব ক্যাম্পে কাজ করছে দেশি-বিদেশি ১৩৯টি এনজিও। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন ও রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়