স্বাস্থ্য ডেস্ক: টেনশন বা দুশ্চিন্তা থাকলে এখনই সাবধান হয়ে যান। বর্তমান যুগে এই টেনশনই কিন্তু ডেকে আনে গুরুতর সব শারীরিক সমস্যা। বেশি টেনশন করার কারণে জীবন আরও জটিল হয়ে যায়। টেনশন দূর করতে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ..
১. নিয়মিত যোগ ব্যায়াম: স্ট্রেস কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই যোগ ব্যায়াম। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে শরীর থেকে এন্ডোরফিন নামে এক হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা হ্যাপি হরমোন নামে পরিচিত। এই হ্যাপি হরমোনের কারণে আপনি নিজেও থাকবেন হাসি-খুশি।
২. সুষম খাবার: জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি খাবার ছেড়ে সুষম খাবার খান। টাটকা ফল-সবজি খান। দুধ চা এবং কফি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সকালের খাবার কখনই মিস করবেন না। প্রতিদিন এক মেনুতে না থেকে পরিবর্তন আনবেন। সুষম ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার শরীর ও মনকে ভাল রাখে। সহজে অবসাদ মনে দানা বাধে না।
৩. ঘুম: এখানকার দিনে যা কাজের চাপ তাতে ঘুমানোর কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। কিন্তু ভাল ঘুম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কারণ ঘুম শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। তাই ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৪. পছন্দের কাজগুলো করুন: গতানুগতিক কাজের বাইরে যে কাজ করতে মন চায় সেটা করুন। বয়সের চিন্তা ছেড়ে পছন্দের কাজে সময় দিলে দুশ্চিন্তা করার সময় কমে যায়।
৫. নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন: মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। না চাইলেও হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবেই। কিন্তু কোনও খারাপ অভ্যাস ছাড়তে গেলে সেটিকে ভাল অভ্যাসের সঙ্গে ‘রিপ্লেস’ করুন। তাই মনে খারাপ চিন্তা এলে ভাল কিছু ভাবুন। সাইকোলজি বলে, আপনি যেটা সারাদিন ভাববেন সেটা আপনার কাজে, ব্যবহারে প্রকাশ পায়। খারাপ চিন্তা করলে ফল খারাপ আসবে। তাই ইতিবাচক বা ভাল কিছু ভাবুন। জীবনে সুখী থাকবেন।
৬. নিজের জন্য সময় বার করুন: নিজেকে ভাল না বাসলে সে কাউকে খুশি করতে পারে না। তাই সবার আগে নিজের কথা ভাবুন। সারাদিনের মধ্যে কিছু সময় কেবলমাত্র নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সেই সময় বই পড়ুন বা রূপচর্চা করুন বা কেনাকাটা করুন বা নিজের সঙ্গে কথা বলুন। আধা ঘণ্টার জন্য হলেও নিজেকে নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকুন। দেখবেন এতে স্ট্রেস অনেকটা কম লাগবে।
৭. স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন- নিজেকে বোঝান টেনশন করে কোনও লাভ নেই। সবকিছু নিজের মর্জি মতো হবে এমনটা নয়। সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। তা টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন।
৮. অতিরিক্ত আশা ছেড়ে দিন: আমরা অন্যের কাছ থেকে এত কিছু আশা করি, কিন্তু সেই আশা পূরণ না হলে ভেঙে পড়ি। সেখান থেকে আসে হতাশা। এবং ধীরে ধীরে তৈরি হয় স্ট্রেস। তাই কারোর কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।
৯. অল্পতে সন্তুষ্ট থাকুন: এটি খুবই গরুত্বপূর্ণ টিপস। অল্পতে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস করলে অটোমেটিক্যালি বড় একটা চাপ কমে যাবে। ফুরফুরে লাগবে মন মেজাজ।
১০. একনিষ্ট মনে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করুন: বিশ্বাস রাখুন আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। যিনি ক্ষমাশীল এবং রহমত দানকারী। বিশ্বাস রাখেন, তাঁরই ইচ্ছাতেই আপনি এই অবস্থায় আছেন। এতে খুশি থাকুন এবং তার শুকরিয়া আদায় করুন। হেলথ ডায়েরি
আপনার মতামত লিখুন :