শিরোনাম
◈ ইংলিশ লিগে চেলসির জয়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-আর্সেনাল ড্র ◈ শেখ পরিবারের নামে থাকা সেনানিবাসসহ ১৬ সামরিক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ◈ আমি বাসায় এসেছি, ভালো আছি তবে বেশ কিছুদিন নিবিড় পরিচর্যায় থাকতে হবে: পিনাকী ভট্টাচার্য ◈ মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে ◈ পুরস্কার বিতরণে জায়গা হয়নি আয়োজক পাকিস্তানের, ক্ষুব্ধ শোয়েব ◈ স্টারলিংক বাংলাদেশে অর্থনীতি ও নারীর ক্ষমতায়নে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে: বিশেষজ্ঞদের মত ◈ বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী পোশাক শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, তীব্র যানজট ◈ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ড হবে পাকিস্তানে  ◈ পাকিস্তানে গিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের খেলতে না পারা আক্ষেপের: সৌরভ গাঙ্গুলি ◈ অর্থের উৎস নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, সংগঠনগুলোর আয়ের উৎস কী?

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ দুপুর
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রিজন ভ্যানে জঙ্গী হামলার আশঙ্কা

ওয়ালি উল্লাহ : দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে আটক জঙ্গীদের প্রিজনভ্যানে আদালতে আনা-নেয়ার সময়ে জঙ্গী হামলা ও নাশকতা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কারাগার থেকে আদালতে প্রিজনভ্যানে জঙ্গী আনা-নেয়ার বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। নিরাপত্তা জোরদার ও সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সুপারিশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গা ঢাকা দেয়া জঙ্গীরা গোপনে সংগঠিত হয়ে নাশকতা ও জঙ্গী হামলার ছক কষছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা । জনকণ্ঠ

বর্তমানে সারাদেশের কারাগারগুলোতে আটক আছে জামা আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), নব্য জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি), আল্লাহর দলসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীরা। এসব জঙ্গীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির ও সুইসাইড স্কোয়াডের জঙ্গী সদস্য রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গীদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে কারাগারে আটক আছে। কারাগারে বসেই জঙ্গীরা একে অপরের সঙ্গে শলাপরামর্শ এবং বাইরে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এতে যে কোন সময়ে জঙ্গী ছিনিয়ে নেয়ার মতো নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল্লাহর দল নামের জঙ্গী সংগঠনের ৪সদস্যকে আটক করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি পেনড্রাইভ, ১২টি মোবাইল ফোন, আল্লাহর দল সংগঠনের লিফলেট, দাওয়াতপত্র ও আয়-ব্যয়ের হিসাবের একটি টালি খাতা উদ্ধার করা হয়। আটক জঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব জানায়, জঙ্গীরা সংগঠনটির যাবতীয় আর্থিক মূলধনের একটি বড় অংশ নামে-বেনামে দেশের কয়েকটি ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছে। আটক জঙ্গীদের ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা অর্থ দিয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি ও সরকার উৎখাতের কাজে এগুলো ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিলো।

গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশকে টার্গেট করে বোমা হামলা এবং পল্টন ও খামারবাড়ি পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ২টি বোমা উদ্ধার করার ঘটনা জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীরাই সংগঠিত করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। অথচ এই ৪টি জঙ্গী হামলা ও হামলার চেষ্টার ঘটনায় কোন জঙ্গী সদস্যই গ্রেফতার হয়নি। পলাতক এসব জঙ্গীরা যে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটাবে না এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। পুলিশকে টার্গেট করা ঘটনাগুলো কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে ঘটিয়েছে তা উদ্ঘাটন করতে না পারায় জঙ্গী হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। ওই সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে গুলশানের হলি আর্টিজান মামলার আসামি মামুনুর রশিদ রিপন। জিজ্ঞাসাবাদ সে জানায়, ২০১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে যেভাবে জঙ্গী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে, ঠিক একই কায়দায় আরও জঙ্গী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছে আত্মগোপনে থাকা জঙ্গীরা। এমনকি গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটিয়ে দেশ-বিদেশে যেভাবে আলোড়ন তুলে আলোচনায় এসেছিলো, ঠিক তেমনিভাবে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আটক জঙ্গীদের কারাগারে আনা-নেয়ার সময়ে ছিনিয়ে নিয়ে আবারও দেশ-বিদেশে আলোচনায় এসে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে জঙ্গীগোষ্ঠী। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামিদের কারাগার থেকে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাও করেছিলো জঙ্গী সংগঠন জেএমবি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিপন নামের যেই জঙ্গী আদালতে আনা-নেয়ার সময়ে আটক জঙ্গীদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করার জবানবন্দী দিয়েছে। সে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানের মেয়ের জামাই আওয়ালের ভাগ্নে। জেএমবির এই অংশের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রিপন। গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের জন্য ভারতে আত্মগোপনে চলে যায় রিপন। সে জেএমবিকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফের বাংলাদেশে আসে। সম্প্রতি তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিলো।

দীর্ঘ ৫বছরেও ধরা পড়েনি ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে প্রিজনভ্যান থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামা’আকুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) দুর্ধর্ষ ৩জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়ার এক জঙ্গী সালেহীন। এ ঘটনার ৫বছর পার হলেও ঘটনার মূল হোতা বর্তমানে নব্য জেএমবির আমির সালেহীন এখনও ধরা পড়েনি। সালেহীন এখন ভারতে অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। পলাতক সালেহীন শুধু বাংলাদেশেই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গীরা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে থেকেও নাশকতাসহ জঙ্গী তৎপরতা চালিয়ে আসছে।

ডব্লিউএ/এমআই

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়