শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ 'আ. লীগের বিচার না করলে জনগণ আবার আন্দোলনে নামবে' (ভিডিও) ◈ বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট (ভিডিও) ◈ দেশের সব মেডিকেল কলেজে সোমবার ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ◈ এবার জামায়াতের আমীরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিবির ◈ জুনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে নেপাল ◈ চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি; ভুক্তভোগী নারীর লোমহর্ষক বর্ণনা! ভিডিও ◈ মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে: ছাত্রদল

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:৫৪ সকাল
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসলমানদের জীবনে হিজরী সনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে, বললেন আল্লামা মাসঊদ

আমিন মুনশি : মুসলমানদের হিজরী সনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, হিজরী সন শুধু আরবদের নয়, হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামের সন। হিজরী সনের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, ক্ষণ ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি।

শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও ইকরা বাংলাদেশ জামে মসজিদে জুমার বয়ানে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এসব কথা বলেন।

হিজরী সনটিকে গোটা মুসলিম উম্মাহর সন হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, শুধু হিজরী সন নয়, হিজরী সনের মাসগুলোর তারিখ ব্যবহারে ও চর্চায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। মুসলমানদের হিসাব-নিকাশগুলো হিজরী তারিখ উল্লেখ করেই করা উচিত। অন্য সনের হিসাব অনুগামী হিসেবে আসতে পারে। হজরত ওমর রা. তার খিলাফতকালে হিজরী সন গণনা শুরু করেন জানিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, হজরত ওমর রা.-এর কাছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় চিঠি আসত। সেখানে মাসের নাম ও তারিখ লেখা হতো। কিন্তু সনের নাম থাকত না। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো। তখন পরামর্শের ভিত্তিতে একটি সন নির্ধারণ ও গণনার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন উপলক্ষ থেকে সন গণনার মতামত আসলেও শেষ পর্যন্ত হিজরতের ঘটনা থেকে সন গণনার সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি বলেন, হিজরী সন যেহেতু সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর সময় কাল থেকে শুরু হয়েছে। আর সাহাবায়ে কেরাম রা. দ্বীনে ইসলামের অনুসারীদের তথা মুসলমানদের আদর্শের প্রতীক। তাই সর্বস্তরের মুসলমানদের এ হিজরী সালের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিত। হিজরী সনের প্রথম মাস মহররমের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, ইসলামে চারটি মাসকে বিশেষভাবে সম্মানিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম হলো মহররম মাস আর মহররম মাসের দশম দিবস যা আশুরা হিসেবে পরিচিত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।

আশুরা রোজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় এসে দেখলেন যে, ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা পালন করছে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন যে তোমরা রোজা পালন করছ? তারা বললো, এটা এক মহান দিবস যেদিন আল্লাহতায়ালা মুসা আলাইহিস সালাম ও তার সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন। মুসা আলাইহিস সালাম শুকরিয়া হিসেবে এ দিনে রোজা পালন করেছেন। এ কারণে আমরাও রোজা পালন করে থাকি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা আলাইহিস সালামের অধিকতর ঘনিষ্ঠ ও নিকটবর্তী। ‘অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা পালন করলেন এবং সাহাবিদের রোজা পালনের নির্দেশ দিলেন। আশুরার রোজা পালনের ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, হজরত আবু কাতাদাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আশুরার দিনে রোজা রাখার উছিলায় আল্লাহতায়ালা আগের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন।

আল্লামা মাসঊদ বলেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত, হিজরী সন, মহররম, আশুরার ঐতিহাসিক তাৎপর্য, গুরুত্ব ও ফজিলত অর্জনে সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আশুরার সকল ঘটনাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়