জান্নাতুল পান্না: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে হত্যাকারী কর্নেল ফারুক-রশিদ বঙ্গবন্ধ হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে জিয়ার কাছে যান। তখন বলেন, ‘তোমরা কর, আমি সিনিয়র অফিসার হিসেবে সামনা সামনি থাকতে পারি না’।
শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ির আ ক মু গিয়াসউদ্দিন মিলকি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। এর জন্য আমরা গর্বিত, গর্বিত এদেশের মেহনতি কৃষক ভাইদের জন্য। আগামী আমন ও বোরো মৌসুমে সত্যিকারের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবো। আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি আমাদের এ কাজ থেকে রুখতে পারবেনা। উৎপাদন করে জাতির মুখ উজ্জ্বল করেছেন, এবার কৃষকদের লাভবান করে আবারও জাতির মূখ উজ্জ্বল করাতে পারবো, এ আমার বিশ্বাস।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিএস (কৃষি) পরিষদের মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক খায়রুল আলম, কৃষিবিদ সাইদুর রহমান সেলিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেনাবাহিনী অফিসাররা জিয়ার কাছে গেলে তিনি তাদের বলেন, সো হোয়াট! ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার। সেনাবাহিনীর একটি অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সেনাদের যেকোনো হত্যার পরিকল্পনা যখন কেউ অবগত হন সেটি দ্রুত রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। সেটি তিনি করেননি। এমনকি যারা এ অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতেই প্রমাণিত হয়, জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব।
তিনি বলেন, জিয়ার পরবর্তী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরো প্রমাণ করেছেন যে, তিনিই এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব। তিনি খুনিদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছেন, ভালো চাকরি দিয়েছেন, বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে নিঃশেষ করে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র বির্নিমাণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যা করে যখন ঘাতকরা বুঝতে পারলো তার চেতনা, তার আদর্শের মৃত্যু নেই। চিরতরে নিঃশেষ করতে তখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায় শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে। নেত্রীকে এ প্রর্যন্ত ২২ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, ইসলামী প্রজাতন্ত্র না। তিনি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু নিয়ে অনেক বই রয়েছে, যা পড়লে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানা যায়। জানা যায়, ইতিহাস বিকৃতির নোংরা উৎসবের কথা। সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :