শিমুল মাহমুদ : আড়াই বছরের ছোট্ট আদনান, তার সঙ্গী একটি মোবাইল ট্যাপ। এই নিয়েই খেলা করে কাটায় সে দিনের বেশিরভাগ সময়। শিশুদের গেজেট অবস্থার এ চিত্র শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর কাজই হলো খেলাধুলা। খেলাধুলার মাধ্যমেই শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা, ভাষার দক্ষতা, সামাজিকতা, কল্পনাশক্তি বাড়ে। কিন্তু শহর গুলোতে খেলার মাঠ না থাকায় ভিডিও গেমস আর অনলাইনে সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে শিশুরা। এতে করে শিশুদের মানসিক বিকাশ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শারীরিকভাবেও দূর্বল হয়ে পড়ছে তারা। মন ও শরীরের এ দূর্বলতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে শিশুর শিক্ষা গ্রহণেও। তাই শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
অপরিকল্পিত শহরে হাতেগোনা কয়েকটি খেলার মাঠ থাকলেও এতে খেলার সুযোগ হয় না শিশুদের। ঘরবন্দি খেলা আর ইলেট্রনিক্স ডিভাইসেই দিন কাটে তাদের।
অভিভাবকরা বলছেন, ‘বাচ্চারা বাইরে ঘুরবে, খেলবে, এটা আমরা দিতে পারি না। যার ফলে আমরা ট্যাব, র্স্মাট ডিভাইস যেগুলোতে কনভার্ট করছি। তাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা দিয়ে ঘরে রাখতে চেষ্টা করি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আহমেদ হেলাল বলেন, যে শিশুটি খেলার মাঠে বড় হয়নি, বাহ্যিক জগৎ সর্ম্পকে তার অনেক কিছু অজানা ছিলো, সে শিশুটি কিন্তু পরিণত বয়সেও তার চিন্তা ও আচরণ স্বাভাবিক রাখতে পারবে না। তার চিন্তার বৈকল্য থাকবে, তার আচরণে বৈকল্য থাকবে।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :