রাকিব উদ্দীন : রক্ষণবাগের খেলায়াড় হিসেবে সর্বপ্রথম উয়েফার বর্ষসেরা হয়ে ইতিহাস গড়লেন লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে এ পুরস্কারটি দেওয়ার শুরু করে উয়েফা। এবারই সর্বপ্রথম ফরোয়ার্ডদের ছাড়িয়ে অ্যাওয়ার্ডটি নিজের করে নেন ডাচ এ ফুটবলার।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল সাউদাম্পটন থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বরেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে লিভারপুলে পাড়ি জমান ভার্জিল ভ্যান ডাইক। একজন ডিফেন্ডারের জন্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো গুণতে হয়েছিলো অলরেডসদের সে সময়ে, যা বেশ সমালোচিতও ছিলো। তবে তখনও হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি ঠিক বছর দেড়েক পরেই এই ভ্যান ডাইকই ইতিহাস লিখবেন নতুন করে।
লিভারপুলের ছন্ন ছাড়া রক্ষণভাগকে পাহাড়ের মতো আগলে রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই ভ্যান ডাইকই। আর তাই তো নামের ওপর যে বড় ট্রান্সফার ফি’র বোঝা ছিলো তা যথাযথ প্রমাণ করলেন নিজেই।
লিভারপুলের হয়ে প্রথম সম্পূর্ণ মৌসুম খেলেছেন ২০১৮-২০১৯। আর প্রথম সম্পূর্ণ মৌসুমেই বাজিমাৎ করেছেন এই ডাচ ডিফেন্ডার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১০ বছরের মধ্যে প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে জিতেছেন মৌসুমের সেরা ফুটবলারের এওয়ার্ড। জিতেছেন ২০১৮-২০১৯ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ডিফেন্ডারের এওয়ার্ডটিও।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে এই এওয়ার্ড জয় করেন ভ্যান ডাইক। সেরা তিনের তৃতীয় স্থানে ছিলেন রোনালদো, তার পয়েন্ট ৭৪, দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিওনেল মেসির পয়েন্ট ২০৭ আর শীর্ষে থাকা ভ্যান ডাইকের পয়েন্ট ৩০৫। এর আগে এত পয়েন্টের ব্যবধানে একবারই কেবল এওয়ার্ডটি জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের এওয়ার্ড জিতেছিলেন রোনালদো। আর সেবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসির সাথে তার পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ৩৪১। আর এবারের মৌসুমে ভ্যান ডাইকের সাথে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসির পয়েন্টের ব্যবধান ৯৮।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে মোট ২১ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিলেন ভ্যান ডাইক। আর সেই সাথে গড়েন এক অনন্য কীর্তিও। গেল মৌসুমে একবারের জন্যও কোনো ফুটবলার ড্রিব্লিং করে ভ্যান ডাইকের সামনে থেকে বল নিয়ে যেতে পারেননি। আর লিভারপুলের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখেন ভ্যান ডাইক। তারই স্বীকৃতিতে জিতলেন ডিফেন্ডার হয়ে প্রথমবারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের এওয়ার্ডটি।
সম্পাদনা : এল.আর.বাদল
আপনার মতামত লিখুন :