শাওন মাহমুদ : ভোর ৪.৩৫ থেকে জেগে আছি। একাত্তরের সেই ভোরের ঘোরে লিখছি এখন। আটচল্লিশ বছর পার হচ্ছে আজ। আটচল্লিশ বছর পরের এই ভোরে আমি সেই গেরিলাকে ক্ষমা করে দিতে সক্ষম হয়েছি। যে পাকিস্তানী আর্মিদের অকথ্য নির্মম অত্যাচারে তার সহযোদ্ধাদের নাম বলে দিয়েছিলো। নিজেকে বুঝ দিতে পেরেছি সবার সহ্য ক্ষমতা এক নয়, সবার বিশ্বাসের খাদ গভীর নয়, সবার ভালোবাসার ভার এক নয়। তিনি বেঁচে আছেন, আমার কথা তার কাছে ঠিক পৌঁছে যাবে কোন এক সময়।
কেন ক্ষমা করতে পেরেছি জানেন! যখন ভাবতে ভাবতে বুঝতে পেরেছি যে, আজকাল বিশ্বাস করে কাউকে কোন তথ্য শেয়ার করলে তার পরদিন আরো দুজন সেই তথ্য জানে দেখে। কাউকে বিশ্বাস করে মেসেন্জারে কোন তথ্য শেয়ার করলে তার স্ক্রিনশট আধা মিনিটে আরো দুজনের কাছে পৌঁছে যেতে দেখে। বিশ্বাস করে কাউকে সাহায্য করলে তিনদিনের মাথায় তা মিথ্যা হয়ে যেতে দেখে। কাউকে অত্যাচার করা লাগে না। জিজ্ঞাসাবাদ নয়। যুদ্ধ নয়। তবুও চারিদিকে শুধু বিশ্বাসঘাতকতা।
যুদ্ধ এক মহাপ্রলয়ের নাম। একটা দেশের এপাশ ওপাশ ছিড়ে ফুড়ে একাকার করে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার নাম। সে দেশের মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া গলিত দেহের নাম। যুদ্ধ আমার কাছে এক অবিশ্বাস্য বিশ্বাসের নাম। শুধুমাত্র বিশ্বাসে ভর করেই যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :