মির্জা ইয়াহিয়া : হাজারো সমস্যার শহর ঢাকা। এর জন্য দায়ী অবশ্যই প্রশাসন। তারা যদি সচেষ্ট থাকে তবে অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসন একা কী কিছু করতে পারবে? আমি মনে করি না। নাগরিকরা যদি সচেতন না হয় সরকার বা প্রশাসন একা কিছু করতে পারবে না। যেমন : ঢাকায় চলার পথে নানা অসঙ্গতি দেখি। তার জন্য নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা অনেকাংশে দায়ী। লোকজন যেখানে-সেখানে গাড়ি রেখে দেয়। এর কারণে যানজট লেগে যায়। অন্যদের ভোগান্তির বিষয়টি কেউ মাথায় রাখে না। নিজের সুবিধা হলেই হলো।
আমি বাংলাদেশের বাইরে বিদেশের যেসব শহরে গিয়েছি, সেখানে দেখেছি, সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলে। কিন্তু ঢাকার মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা কম। আমরা ট্রাফিক আইন মানতে চাই না। যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করি। ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে অনীহা। ঝুঁকি নিয়ে নিচ দিয়ে রাস্তা পার হই। এগুলো প্রতিরোধে অভিযান পরিচালিত হয়। বাধ্য হয়ে তখন আইন মানে। কিন্তু সবসময় কী অভিযান সম্ভব? নাগরিকরা যদি নিজে থেকে আইন না মানে তবে জোর করে আসলে চাপিয়ে দেয়া যায় না।
এই সমস্যার তাহলে কোনো সমাধান নেই? সমাধান অবশ্যই আছে। আইন লঙ্ঘন প্রতিরোধে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া যায়। হয়তো কোথাও অভিযান নেই, পুলিশ নেই... এ অবস্থায় কেউ যদি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে তাহলে উন্নত বিশ্বে কিন্তু ঠিক শাস্তি দিতে হাজির হয় প্রশাসনের লোকজন। এটা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে। আমাদেরও আইন প্রয়োগ কঠোর হতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তবে ঢাকার মতো জনবহুল শহরে বিদেশি শহরের মতো বিষয়টি বাস্তবায়ন কঠিন। জনবহুল শহরে নাগরিকরা দায়িত্বশীল না হলে কোনো কিছুতেই শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :