স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জোফরা আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। সেই সময় মাঠ ছেড়ে গিয়ে ছিলেন তিনি। যার কারণে তাকে আউট করতে পারেনি আর্চার। পরে মাঠে নামলেও ক্রিস ওকসের বলে আউট হয়েছিলেন স্মিথ। কিন্তু সেই বাউন্সার নিয়ে এতোদিন দুই জনের মাঝে কোনো কথা না হলেও সম্প্রতি বাকযুদ্ধ লেগেছেন তারা।
ইনজুরির কারণে তৃতীয় টেস্টে খেলা হয়নি স্মিথের। তবে ফিরছেন চতুর্থ টেস্টে। এক সাক্ষাৎকারে নিজের মাঠে ফেরা, লর্ডসের সেই বাউন্সার ও আর্চারকে নিয়ে অনেক কথা বলেন স্মিথ। যেখানে কথার ফাঁকে তিনি জানান যে মাঠ ছেড়ে গেলেও, আর্চার তাকে আউট করতে পারেননি। তাই এখানে নৈতিক জয়ের পাল্লাটা থাকবে তার নিজের দিকেই।
স্মিথ বলেন, ‘আমি বেশ কিছু কথা শুনতে পাচ্ছি যে, আর্চার আমাকে পরাস্ত করতে পেরেছে। কিন্তু আসল সত্যিটা হলো সে আমাকে আউট করতে পারেনি। সে আমাকে লর্ডসের এবড়োথেবড়ো উইকেটে মাথায় আঘাত করেছিলো। অথচ অন্যসব বোলাররা আমার বিপক্ষে তার চেয়ে আরও ভালো বোলিং করেছিলো।’
স্মিথের এ যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিতে দেরি করেননি আর্চারও। তার বক্তব্য হলো, ‘সে (স্মিথ) কী বলেছে শুনেছি। দেখুন, সে যদি মাঠেই না থাকে তাহলে আউট করবো কীভাবে? লর্ডস টেস্টে সে আবার উইকেটে আসার পর আমি তাকে আউট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি বোলিংয়ে আসার আগেই সে আউট হয়ে গেলো। সে যাইহোক, সামনে তাকে আউট করার আরও অনেক সময় পাওয়া যাবে।’
এদিকে ইংলিশদের বাউন্সার পরিকল্পনার ব্যাপারে স্মিথ আরও বলেন, ‘তারা আমাকে মাথা ও কাঁধ বরাবর বোলিং করছে মানে হলো, আমার প্যাড বা স্ট্যাম্পে আঘাত করতে ব্যর্থ তারা। এজন্যই বাউন্সারের দিকে এগিয়েছে। ডিউক বল হাতে এ কাজটা খুবই সহজ হয়। যা হয়তো সামনের ম্যাচেও দেখা যাবে। তবে আমি সত্যিই আমার কোনো টেকনিকে পরিবর্তন আনবো না।’
আর্চারের কাছে রয়েছে স্মিথের এ মন্তব্যেরও জবাব। তিনি বলেন, ‘দিন শেষে আমি হয়তো বলতে পারবো না যে তাকে আউট করেছি বা করিনি। কিন্তু তার দলে আরও ১০ জন আছে, যাদের আমরা আউট করতে পারি। তখন সে ৪০ রানে অপরাজিত থাকলেও, তার দলের জন্য কোনো উপকারে আসবে না। আমরা সবাই জানি সে বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান এবং টেস্ট ক্রিকেটের যথাযথ টেম্পারামেন্টও রয়েছে। তবে সে একাই সবকিছু করতে পারবে না। এছাড়া আমি অ্যাশেজ জিততে চাই। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে যুদ্ধে জেতার লক্ষ্যে আসিনি।’
সম্পাদনা : রাকিব উদ্দিন