রাশিদ রিয়াজ : আদালত সূত্রে খবর, গত বছর ২২ অগস্ট খুন হন কেভিন পি জোশেফ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এটি অনার কিলিং। তাঁর স্ত্রীর পরিবারের স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন কেভিন। গত বছর স্ত্রীর বাড়ির লোকজনের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন বছর তেইশের দলিত ক্রিস্টান এক যুবক। পাত্র দলিত বলে এই সম্পর্কে বেঁকে বসেছিল মেয়েটির পরিবার। মেনে নিতে পারেনি এই বিয়ে। অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল ওই দলিত যুবককে। সাড়া ফেলেছিল কেরালার এই অনার কিলিংয়ের ঘটনা। সেই মামলায় মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করল আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, গত বছর ২২ অগস্ট খুন হন কেভিন পি জোশেফ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এটি অনার কিলিং। তাঁর স্ত্রীর পরিবারের স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন কেভিন। কোয়াট্টমের প্রধান সেশন আদালতের বিচারক সি জয়চন্দ্রন এদিন অনার কিলিংয়ে দোষী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ৩৬৪এ (মুক্তিপণের জন্য অপহরণ) ধারায় সাজাপ্রাপ্ত এই ১০ জনকে আগেই দোষীসাব্যস্ত করে আদালত।
মামলার প্রধান সরকারি কৌসুঁলি জানান, দোষী প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এই টাকা তুলে দেওয়া হবে এই মামলার তিন সাক্ষীর হাতে। তাঁরা হলেন কেভিনের বাবা জোশেফ, স্ত্রী নীনু চাকো ও এক আত্মীয় অনীশ সেবাস্টিয়ানকে। কেভিনের সঙ্গে এই অনীশকেও অপহরণ করা হয়েছিল। সাজাপ্রাপ্তরা জরিমানার টাকা দিতে না পারলে, তাদের বাজেয়াপ্ত তিনটি গাড়ি বিক্রি করে, সেখান থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
শাস্তি ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে অনার কিলিংয়ে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য। কিন্তু, দোষীদের বয়স এবং অতীতে অপরাধের নজির না-থাকায়, সমস্ত কিছু বিবেচনা করে তাদের আর একবার সুযোগ দেওয়া হল। যাতে নিজেদের সংশোধনের সুযোগ পায়।