আক্তারুজ্জামান : এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আগামীকাল মাঠে নামবে আবাহনী। ঘরের মাঠে ৪-৩ গোলে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভকে হারিয়েছিলো জীবন ও সানডেরা। ঢাকার দলটিকে বুধবার আতিথ্য দেবে কিম জং উনের দেশের ক্লাবটি। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল জং স্টেডিয়ামে বিকাল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ম্যাচের আগে ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্লাবকে। ন্যূনতম ড্র করলেই ইন্টার জোনাল ফাইনালে নাম লেখাবে তারা। কিন্তু এ ম্যাচটি বড় চ্যালেঞ্জই হয়ে আসছে আকাশি-নীল বাহিনীর জন্য।
এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ শক্তিশালী দল, তারা খেলবে নিজেদের মাঠে এসব চ্যালেঞ্জ তো থাকছেই। এগুলো মোকাবিলা করার উপায়ও আছে আবাহনীর জানা। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার তাদের দেশে খেলতে যাওয়া দলগুলোকে যেভাবে ‘আতিথ্য’ দেয়, সেটিই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
এমন কিছু তারা করে থাকে, যে সব ব্যাপারে সরাসরি অভিযোগ করার কোনো উপায় নেই, কিন্তু সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। যেমন ধরুন, দলের খেলোয়াড়দের ক্রীড়া সামগ্রীই হয়তো বিমানবন্দরে হারিয়ে গেলো, রাতে হোটেলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট শব্দ। রাতে ঘুমের সময় চলে গেলো হোটেলের বিদ্যুৎ। হতে পারে পানির কষ্ট। ইন্টারনেটের দুনিয়া সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে প্রায় নিষিদ্ধ। মোটকথা তারা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে, যেটিতে খেলার সব মনোযোগ হারিয়ে ফেলতে পারেন সফরকারীরা।
এসব গল্পগুলো জানা আবাহনীর কোচ মারিও লেমোসের। তাই সেভাবেই শিষ্যদের মানসিকভাবে তৈরি থাকতে বলেছেন। বেইজিং থেকে লেমোস ফোনে শোনালেন তার দলের আগাম প্রস্তুতির কথা, ‘গত বছর কোরিয়া সফর করা আমার এক কোচ বন্ধুর মাধ্যমে সেখানকার বিষয়গুলো আমি জানি। খেলোয়াড়দের তাই আগে থেকেই বলে দিয়েছি হাত ব্যাগেই যেন তারা প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ কিছু খাবার রাখে। তবে খেলোয়াড়েরা যেন আতঙ্কিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে।’
ম্যাচের আগে সানডের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। অর্থাৎ পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে আবাহনী। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠের লড়াইয়ের। যে লড়াইয়ে ড্র করতে পারলেই দেশের ফুটবল আকাশে উঠবে নতুন সূর্য।
আপনার মতামত লিখুন :