শিরোনাম
◈ ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ◈ পঞ্চম দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ◈ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার ◈ ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি বিপিএলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন ◈ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি পরিবর্তনের পেছনে ভারত-পাকিস্তানের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ◈ কারা অধিদপ্তরের লোগো থেকে সরানো হলো নৌকা ◈ আবারও বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম ◈ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা - ক্লাসের বদলে মাঠে আ’লীগের লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত (ভিডিও) ◈ ৮ জেলায় বিএনপির নতুন কমিটি ◈ প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেন?

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসলিমরাই ভারতে অস্পৃশ্যতা আনে, দাবি আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপালের

রাশিদ রিয়াজ : ভারতে উঁচু-নীচু শ্রেণি থাকলেও কখনও অস্পৃশ্যতা ছিল না। শুধু যারা গোমাংস খেতো, তাদের অস্পৃশ্য বলা হতো। সোমবার দিল্লির এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই দাবি করেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। তিনি আরো বলেন, ভারতে অস্পৃশ্যতার প্রথম উদাহরণ পাওয়া যায় ইসলাম প্রবেশ করার পরে। ব্রিটিশদের বিভাজন নীতির প্রচলন হওয়ার পরেই ‘দলিত’ শব্দটি ভারতে আত্মপ্রকাশ করে। গোপাল এও বলেন, ভারত ছাড়া বিশ্বের কোনও দেশ ইসলামি শাসনে টিকে থাকতে পারেনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া

সোমবার দিল্লিতে এমনই চাঞ্চল্যকর সব তত্ত্ব শোনান শীর্ষ স্থানীয় আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। দলিত সম্পর্কীয় একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে নেতা তার বক্তব্যে জানান, দেশে এক জাতপাতহীন সমাজ গড়াই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের লক্ষ্য। কৃষ্ণ গোপাল বলেন, ‘ভারতে অস্পৃশ্যতার প্রথম উদাহরণ পাওয়া যায় ইসলাম প্রবেশ করার পরে। রাজা দাহিরের (সিন্ধের শেষ হিন্দু রাজা) পরিবারে তার রানিরা জহরব্রত পালন করতে যাওয়ার সময় বিষয়টি প্রথম জানা যায়। আগুনে আত্মহুতি দেওয়ার সময় তারা বলেছিলেন, ম্লেচ্ছদের স্পর্শ এড়াতে তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ব্রত পালন করতে হবে। ভারতীয় শাস্ত্রে সেই প্রথম অস্পৃশ্য কথাটির উদ্ভব হল।’

গোপাল কৃষ্ণ আরও দাবি করেন যে, ভারতে মুসলিম শাসনকাল ‘অন্ধকার যুগ’। সেই সঙ্গে তার দাবি, ‘ভারত ছাড়া বিশ্বের কোনও দেশ ইসলামি শাসনে টিকে থাকতে পারেনি। ধর্মপরায়ণতা ও বুদ্ধিমত্তার জোরে আমরা অন্ধকার যুগ পাড়ি দিয়েছি।’

বক্তব্যে আরএসএস নেতা আরও বলেন, ‘ভারতে উঁচু-নীচু শ্রেণি থাকলেও কখনও অস্পৃশ্যতা ছিল না। শুধু যারা গোমাংস খেতো, তাদের অস্পৃশ্য বলা হতো। অম্বেদকরও এ সম্পর্কে লিখেছেন। ধীরে ধীরে সমাজের এক বড় অংশ অস্পৃশ্য হয়ে গেল।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়