শিরোনাম
◈ ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা ◈ পঞ্চম দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ◈ জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান সরকার ◈ ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবি সভাপতি বিপিএলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন ◈ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি পরিবর্তনের পেছনে ভারত-পাকিস্তানের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ◈ কারা অধিদপ্তরের লোগো থেকে সরানো হলো নৌকা ◈ আবারও বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম ◈ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা - ক্লাসের বদলে মাঠে আ’লীগের লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত (ভিডিও) ◈ ৮ জেলায় বিএনপির নতুন কমিটি ◈ প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেন?

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:১৭ সকাল
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্ধশতাধিক স্কুলছাত্রের চুল কাটলেন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, বিচার দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

আরিফা রাখি : শিক্ষার্থীদের চুল বড় থাকায় রোববার (২৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সরিষাবাড়ি হাইস্কুলের স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবাদুল হক। এ ঘটনায় সোমবার (২৬ আগস্ট) ভুক্তভোগী ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে সভাপতির বিচার দাবি জানিয়েছেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের দুই-একজনের মাথার চুল বড় থাকায় সভাপতি সেলুন থেকে কাঁচি এনে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় অনেক ছাত্র লজ্জায় স্কুলে আসছে না, আবার অনেকেই সেলুনে গিয়ে চুল ঠিকমতো কাটিয়ে নিয়েছে। সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডের বিচার না হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে না বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবকরা বলেন, ছেলেমেয়েরা কোনও অপরাধ করলে পরিচালনা পরিষদ বা শিক্ষকরা আমাদের জানাতে পারতেন। গত সপ্তাহে আমাদের ছেলের চুল কাটানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তারও চুল কেটে দিয়েছেন। এখন লজ্জায় সে আর এই স্কুলে আসতে চাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা বলেন, কোনও ধরনের নিয়মনীতি না মেনে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাদের ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছেন। স্কুলে দুই-একজন ছাত্রের চুল বড় থাকতে পারে, তাই বলে অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল কাটা কোনও কথা হতে পারে না।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী সরদার বলেন, সভাপতি কী হিসাবে ছাত্রদের মাথার চুল কাটলো সেটা আমার মাথায় আসে না। তিনি তার মতো করে চলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সভাপতির কোনও আলাপ হয়নি।

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও পুঠিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক বলেন, আমি গত দুমাস আগে সভাপতির দায়িত্বে এসেছি। আমি চাই স্কুলের একটা নিয়ম থাকুক। আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো দেখি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, চুল কাটার ঘটনা নিয়ে কিছু ছাত্র ক্লাসবর্জন করেছিলো। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

এদিকে এক সপ্তাহ আগে বাঘা উপজেলার সেলুন মালিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভা করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ফ্যাশনের বিপক্ষে নই, তবে অনেকে উদ্ভট স্টাইলে চুল কাটে। তাই যেসব ছেলেরা এ ধরনের চুল কাটে, তাদের অনুৎসাহিত করার জন্য সেলুন মালিকদের বলা হয়েছিল।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এটা ঠিক হয়নি। অতি উৎসাহিত হয়ে কোনও কাজ করা ঠিক না।

সম্পাদনা : মিঠুন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়