হ্যাপি আক্তার : আগামী ডিসেম্বরে ঢাকার দুই সিটি এবং নতুন বছরের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকার এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গণতন্ত্র ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। ডিবিসি নিউজ ১১:০০
ঢাকা দক্ষিণে ইশরাক হোসেন এবং উত্তরে তাবিথ আউয়ালকে প্রথম পছন্দ ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরশনে দলের পছন্দ মহানগর সভাপতি শাহাদাত হোসেন। পাশাপাশি রংপুর ৩ আসনে উপনির্বাচনসহ সামনের সব নির্বাচনেই অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ভরাডুবির পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা ছিলো বিএনপির। সে অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। তবে, সর্বপ্রথম এই সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় ঘটে মির্জা ফখরুল ইসলামের ছেড়ে দেয়া বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে। এখন সামনের সব নির্বাচনেই অংশ নিতে চায় দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এখন থেকে সব নির্বাচনেই অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজনৈতিক দলে যারা পার্লামেন্টারি পলিটিক্স করে নেতাদের তো নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
দলের অন্যান্য নেতারাও বলছেন, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে বলেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনের যাবার সিদ্ধান্ত আরো আগে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিলে আমরা অনেকগুলো সিট পেতাম। আমি মনে করি, নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের জন্য খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা জানি যে তারা আমাদের কাছ থেকে নির্বাচন কেড়ে নেবে। আমাদের প্রার্থীদের নমিনেশন ফর্ম কিনতেও দেবে না এবং জমাও দিতে দেবে না। এই বাধার মধ্যেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা সে লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
প্রার্থী চ‚ড়ান্ত না হলেও দলের পছন্দের শীর্ষে থাকাদের মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতা ইকবাল মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জন্য ইশরাক হোসেন এবং তাবিথ আউয়াল দুইজনেরই নাম এসেছে। তারা দুইজনই খুব সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সমস্যায় সময় তারা মাঠে নামছেন এবং মানুষের কাছে যাচ্ছেন তবে, এখনই বলা যাচ্ছে না কারা প্রার্থী হবে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :