অনলাইন ডেস্ক : ছাত্রদলের কাউন্সিল গঠনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের ২৭ জনের বিরুদ্ধে বিবাহিতসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে যাচাই-বাছাই কমিটি। আজ মঙ্গলবার এই ২৭ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিটি। খবর দৈনিক আমাদের সময়
গত পাঁচ দিন ধরে যাচাই-বাছাই কমিটি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করেছে। এতে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে লিখিত প্রতিবেদন নেন তারা।
যাচাই বাছাই কমিটির এক সদস্য দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘বাতিল হওয়া বেশিরভাগ প্রার্থীই বিবাহিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে যে পুনঃতফসিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিবাহিতরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করেছি। বিবাহিত কি-না তা জানার জন্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতা নিয়েছি।জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা স্থানীয় নেতাদের নিয়ে প্রার্থীর বাসায় পর্যন্ত গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিয়েছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজ উদ্যোগে কাজী অফিসে গিয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে বিবাহিতসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে সভাপতি পদে ১৩ জনের ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল করেছি।’
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিল উপলক্ষে সংগঠনটির সাবেক নেতাদের দিয়ে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিগুলো হলো-নির্বাচন পরিচালনা, যাচাই-বাছাই ও আপিল কমিটি। সোমবার রাতে শেষ দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসে যাচাই-বাছাই কমিটিসহ দুই কমিটির নেতারা। ওই বৈঠকই মূলত দুই শীর্ষ পদে ২৭ জনের প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-বাছাই কমিটির প্রধান ফজলুল হক মিলন, সদস্য -আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও আকরামুল হাসান।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান খায়রুল কবির খোকন। সদস্য-শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রাজিব আহসান।
এর আগে গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন ছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :