শিরোনাম
◈ ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ◈ ইসকন থেকে ৪ মাস আগে বহিষ্কার হন চিন্ময় দাশ ◈ বৃদ্ধির পর ফের দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর ◈ বেগম খালেদা জিয়া'র  সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূত ◈ পরিকল্পিতভাবে একটা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, একদিনে এতগুলো ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না : নাহিদ ইসলাম ◈ শ্রম আইন সংস্কারে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অস্থির ঢাকা, শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার ◈ কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির ◈ শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে হবে, না হলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে: মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ◈ জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

মাজহারুল ইসলাম :  বিদ্রোহী কবি ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে, বাংলা ভাদ্র মাসের ১২ তারিখ সাবেক পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলও কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একক বক্তৃতার আয়োজন করেছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বাংলাদেশে তার বসবাসের জন্য ধানমণ্ডিতে কবিকে একটি বাড়ি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এমআই/এসবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়