হাসনাত কাইয়ূম : এক একটা সমাজ, এক একটা সময়কালের জন্য, এক একটা রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণ করে। একটা সময়ের পর এটা অকার্যকর হয়ে পড়ে, নতুন একটা কাঠামোর প্রয়োজন হয়। সাধারণ পরিবর্তন বা সাধারণ সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন বা বিকাশ ঘটানোর মধ্য দিয়েই এটা এগোতে থাকে। কিন্তু একটা পর্যায় অতিক্রম করার পর এর মৌল কাঠামোটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন শুধু ছোটখাটো সংস্কার একে আর কার্যকর রাখতে পারে না।
মানুষকে তখন উন্নততর আর একটা মৌল কাঠামোর সন্ধান করতে হয়। ব্যাপক অধিকাংশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো কাঠামোর রূপকল্প যখন মানুষ পায় তখন তারা অতি দ্রুত তা বাস্তবায়নের জন্য হাত লাগায়। অন্তত আমাদের এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইতিহাস এমনই। বাংলাদেশ আজ এমন একটা পরিবর্তনের মুখে দাঁড়ানো। এ সময় ছোটখাটো কোনো উদ্যোগ আর এটাকে বাঁচাতে পারবে না। ৬ দফা যখন প্রস্তাব করা হয়েছিলো তখন এখানকার আওয়ামী লীগারদের বড় অংশটাই এই মৌলিক পরিবর্তনের রাজনীতিটাকে গ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী ৬ দফা উত্থাপনের ৫ বছর পূরণ হওয়ার আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। লাহোর প্রস্তাবের ছয় বছরের মাথায় ১৯৪৬ সনের নির্বাচনে এদেশের মানুষ মুসলিম লীগকে ৯৪ শতাংশের বেশি ভোট দিয়ে পাকিস্তানের মতো অবাস্তব একটি রাষ্ট্র প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করেছে। আজকের বাংলাদেশও উন্নততর রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য ছটফট করছে। এ চটফটানি যদি সত্যিই অনুভব করেন তাহলে উন্নততর একটা রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য মাথা খাটান, হাত লাগান। না হলে মানুষ পাকিস্তানের মতো অবাস্তব রাষ্ট্র প্রকল্প পেলেও লুফে নেবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :