শাহনাজ বেগম: শনিবার ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জেটলি। দিল্লির এইমস এর তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। খবর এইসময়
গত ৯ আগস্ট শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতা নিয়ে এইমসে ভর্তি হন অরুণ জেটলি। ১০ আগস্ট থেকে ৬৬ বছর বয়সি প্রাক্তন এই মন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় এইমস কর্তৃপক্ষ। ২০ আগস্ট হাসপাতালের এক মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি টিম তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেননি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে মে মাসেও এক বার এমসে ভর্তি হন জেটলি। সেই থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে সেভাবে আর দেখা যায়নি তাকে।
এমনকি এ বছর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরলেও, মন্ত্রিত্ব নিতে রাজি হননি জেটলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ তিনি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই এ বার নিজের জন্য একটু সময় চান। নতুন সরকারে তাকে কোনও দায়িত্ব না দিলেই ভালো। তবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় অরুণ জেটলি। মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পক্ষে নিয়মিত সওয়ালও করেন তিনি।
অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘অরুণ জেটলিজির প্রয়াণে মর্মাহত আমি। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন উনি। এক জন অসাধারণ সাংসদ এবং বুদ্ধিদীপ্ত আইনজীবী ছিলেন। সব রাজনৈতিক দল ওঁকে শ্রদ্ধা করত। ভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন উনি। ওঁর স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু এবং সমর্থকদের সমবেদনা জানাই।’’
আপনার মতামত লিখুন :