হ্যাপি আক্তার : বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির নানা অনিয়ম নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষকরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের হাতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনগুলোর। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ৮:০০
এ অবস্থায় পরিচালনা কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ কর্মজীবনে রাজধানীর ২টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন মিজানুর রহমান। চাকরি জীবনে পরিচালনা কমিটির চাপে চাকরি হারিয়েছেন একবার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিটি করতে গিয়ে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছি। তাদের সাথে কথাই বলা যায় না। তারা যেভাবে বলেন সেভাবে চলতে হবে। লেখাপড়ার মান নিয়ে তাদের কোনা মাথা ব্যথ্যা নেই।
শিক্ষক সংগঠনগুলো বলছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নানাভাবে পরিচালনা কমিটির হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, শিক্ষকরা যে নির্বিগ্নে বা শান্তিকে শিক্ষকতা করবে তার অন্তরায়ই হচ্ছে পরিচালনা পরিষদ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রতিষ্ঠানের যেসব অভিযোগ আসে তার বেশিরভাগই ম্যানেজিং কমিটির অনিয়ম নিয়ে।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে প্রচুর অভিযোগ আমরা পাই এবং তদন্ত করি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে বেশি অভিযোগ আসে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরিচালনা কমিটির প্রবিধানমালায় সংশোধন আনা হচ্ছে। এতে ইচ্ছা করলেই পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষকসহ কোনো শিক্ষককে শাস্তি দিতে পারবে না। কাউকে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখলে পুরো বেতন-ভাতা দিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডকে জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অন্যান্য দেশগুলোতে কিভাবে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা যে ব্যবস্থাই নেই না কেন, আমাদের বিধানের ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে সুচিন্তিতভাবেই আনা হবে।
সংশোধনীতে বলা হচ্ছে, পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা কোনো সদস্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :