রাশিদ রিয়াজ : চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিতে বেইজিং প্রতিবাদ জানানোর পর আরো চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনা পণ্যে ২০ থেকে ২৫ এমনকি ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে চীন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত সাড়ে ৭ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়ার পর পাল্টা সাড়ের ৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরো বৃদ্ধির কথা জানান ট্রাম্প। চীনের ট্যারিফ কমিশন ও শুল্ক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় পরিষদ ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে মোট ৫ হাজার ৭৮টি মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা কার্যকর হবে আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি গাড়িতে ২৫ শতাংশ ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। এ সিদ্ধান্তের পরই চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ ২৫ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যে আগে থেকেই যে ২৫ শতাংশ শুল্ক জারি আছে তার ওপর আরো ৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করছে ট্রাম্প প্রশাসন যা আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। সিএনএন/টুইটার/রয়টার্স/ডেইলি সাবা
২০১৯ সালের আগস্টের গোড়ার দিকে চীনা পণ্যে নতুন করে ১০ শতাংশ হারে ৩০ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। স্মার্টফোন, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। গত ১ আগস্ট টুইটারে ট্রাম্প নতুন এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এরই প্রেক্ষাপটে চীনের ট্যারিফ কমিশন ও শুল্ক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় পরিষদ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ফলে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে বেইজিং।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য হচ্ছে, এতদিন বাণিজ্যে চীন যে একতরফা সুবিধা নিয়েছে তাতে ভারসাম্য সৃষ্টির জন্যেই তিনি চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন। চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামে সংরক্ষণশীল নীতির বাস্তবায়ন শুরুর পর দুটি দেশের মধ্যে কার্যত একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা কমাতে এ বছর ওয়াশিংটন ও বেইজিং কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা কোনো সমঝোতায় গড়ায়নি। এর মিশ্র প্রভাব বিশ^বাণিজ্যের ওপর পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :