আসিফ হাসান কাজল : দেশের বৃহৎ দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব কোনো খামার নেই। তাদের দুধ সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ এজেন্ট নির্ভর। এতে কি প্রক্রিয়ায় দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোম্পানিগুলোর নজরদারিও নেই। ফলে দুধের মান নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের তথ্য অনুসারে, মিল্কভিটা, প্রাণ, ফার্মফ্রেশ ও আড়ং দুধ কোম্পানিগুলোর প্রতিটি স্থানেই এমন এজেন্ট রয়েছে। কিন্তু একজন এজেন্ট এই দুধ ব্যাপারি না ফড়িয়া না কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করছেন, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই। ফলে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত দুধের মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ও নিম্নমানের দুধ যাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘পাস্তুরিত দুধ প্রক্রিয়াজাত হওয়ার পরেই আমরা মান পরীক্ষা করে থাকি। তবে কিভাবে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
‘খামারিদের ভালোবাসা মিশে আছে প্রাণ দুধে, প্রাণ দুধ খান তাদের সম্মান জানান’- সম্প্রতি প্রাণ ডেইরি থেকে এই ক্ষুদেবার্তা বিভিন্ন মোবাইল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, এটি একটি প্রমোশনাল মেসেজ। তবে প্রাণ আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বলেন, ‘১২ হাজার কৃষকের সঙ্গে কাজ করছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের কাছ থেকে সরাসরি দুধ সংগ্রহ করে ১২৮টি ক্লিন সেন্টারের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করছি।’ তবে কিভাবে কেনা হচ্ছে, এজেন্টের ভূমিকার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। আপনারা যে বিভিন্ন খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করেন- ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের এ তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কমন খামার হতে পারে।
নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সদস্য ড. মোমহাম্মদ আব্দুল আলিম বলেন, আকিজ কোম্পানি বা অন্য প্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব খামার নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে এজেন্টের কাছ থেকেই দুধ কিনে প্রক্রিয়াজাত করছে। কিছু এজেন্ট অতি লাভের আশায় ভেজাল দুধ বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, এমন অবস্থায় কোম্পানির বা সরকারি কোনো সংস্থার মনিটরিংয়ের সুযোগ নেই। সম্প্রতি শতাধিক লোকবল নিয়োগ দিচ্ছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, লোকবল বাড়ানো হলে অবস্থার উন্নতি হবে। সম্পাদনা: ইসমাইল ইমু/অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :