হ্যাপি আক্তার : শিক্ষার্থী আছে মাত্র ২জন হলেও সেখানে শিক্ষক আছেন ৬ জন। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানেরও শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় পাস করতে পারে না। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ১২:০০
গাজীপুরের পুবাইল কমার্স কলেজ থেকে এ বছর ২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২ জনই ফেল করে। এখন এই কলেজে কোনো শিক্ষার্থী নেই অথচ শিক্ষক আছেন ৬ জন। তবে, অনলাইনে ভর্তির কারণে কলেছে ছাত্র ভর্তি কারানো যায়নি বলে জানা পুবাইল কমার্স কলেজের শিক্ষক সেলিম রেজা।
নওগাঁর সফাপুর ইউনিয়ন আলীম মাদ্রাসা থেকে এবার ৩ জন শিক্ষার্থী আলীম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। এই মাদ্রাসায়ও শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক কম।
সফাপুর ইউনিয়ন আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তি হচ্ছে না। কয়েকজন ছাত্র আংশিক পরীক্ষা দিয়েছিলে, যার কারণে ফল বিপর্যয় হয়েছে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা ৪১টি প্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা। এর বাইরে এতো কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে কতোগুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে তার সঠিক হিসেব নেই। এ অবস্থায় এসব প্রতিষ্ঠান চালু রাখার প্রয়োজনয়ীতা কি সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক জিয়াউল হক বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রকৃতপক্ষে ভালো শিক্ষার্থী ভর্তি হয় না। তাছাড়া, মানসম্মত শিক্ষাও দিচ্ছে না। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কাউন্সিল করা হচ্ছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী বছর পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। আগামী বছরে শূন্য না হোক মোটামোটিও যদি উন্নতি করে সেটাকে গ্রহণ করা হবে না।
কাক্সিক্ষত শিক্ষার্থী না থাকলে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নবায়ন হবে না বলছে মন্ত্রণালয়। সাম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :