রাকিব উদ্দীন : এগুতে হবে অনেকটা পথ। বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক আসর ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও এশিয়ান কাপ মিশনে নিজেদের সবটুকু দিয়ে লড়াই করবে বাংলাদেশ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি ক্যাম্প। ঢাকায় অনুশীলন শেষ করে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে উড়াল দিবে জেমি ডের শিষ্যরা। অবশ্য এর মধ্যেই আফগানিস্তানকে ঘায়েল করার নকশা এঁটে নিবে জেমি ডে।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন জেমি ডে। আর সামনের ১৭ দিন ঠিক কীভাবে এগোবে বাংলাদেশ ফুটবল দল সেটারও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন এই ইংলিশ কোচ। এখন শুধু ক্যাম্পে সেটির কার্যকর নিয়েই ভাবনা।
তার আগে আপাতত আজ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ফুটবলারদের রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর কাছে রিপোর্ট করবে জামাল-রবিউলরা। পরের দিন থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করবে জেমি ডে।
প্রথম সপ্তাহটা আপাতত খেলোয়াড়দের রুটিনে ফেরার মনে করেন জেমি, ‘প্রথম সপ্তাহে ফুটবলারদের খাদ্যাভ্যাসসহ ফিটনেস রুটিনে ফেরার কার্যক্রম চালু থাকবে। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তাদের সকাল বেলা করে অনুশীলন ও বিকেলে জিমনেশিয়ামে ঘাম ঝরানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মূলত আফগান ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা প্রস্তুতিতে কার্যকর করা শুরু করবে বলে জানান জেমি, ‘ম্যাচটা টাফ হবে। আফগানরা অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামবো। তাই আগে ভাগে তাজিকিস্তানেও যাচ্ছি।’
উচ্চতা ও শক্তিতে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানকে নিয়েই বেশ সচেতন জেমি, ‘তার অনেক লম্বা আর শক্তিশালী। আমাদের সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। কর্নার বা সেট পিস নিয়েও কাজ করবো।’
নয় দিন অনুশীলনের পর ৩১ আগস্ট ২৬ জন থেকে ২৩ জনের দল চূড়ান্ত করবেন কোচ। তাদের নিয়ে পরের দিন উড়াল দেবেন তাজিকিস্তানের পথে। সেখানে ১০ দিন কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আফগানদের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। স্থানীয় দুটি ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলবে ৩ ও ৫ সেপ্টেম্বর।
আপনার মতামত লিখুন :