শিরোনাম
◈ কাউন্সিলরকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গুলি করে হত্যা ◈ কলরেট-ইন্টারনেট-পানীয়সহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় বাড়লো শুল্ক-ভ্যাট, অধ্যাদেশ জারি ◈ আমাদের তরুণদের সুযোগ দিতে আমরা আপনার সহায়তা চাই : প্রধান উপদেষ্টা ◈ দলীয় কোনো কমিটিতে অন্য দলের কাউকে নেওয়া যাবে না: বিএনপি ◈ পাঠ্যবইয়ে আ’লীগ ‘সবচেয়ে বড় দল’, বিএনপির জন্ম ‘সামরিক শাসনামলে’ ◈ যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হাসিনার দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজতে ◈ নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কারের বৈধতা দিতে পারব না: ফখরুল (ভিডিও) ◈ ভারতীয় জেলেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের ◈ রাখাইনে জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত, পুড়েছে শতাধিক বাড়িঘর ◈ তামিম ইকবাল প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আট হাজারি ক্লাবে 

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুকুরদের মাংস-ভাত খাওয়াতে ৩ লাখ টাকা ঋণ, গয়না বিক্রি!

নিউজ ডেস্ক : রাস্তার প্রায় ৪০০টি কুকুরকে প্রতিদিন দুপুরে মাংস-ভাত খাওয়ান তিনি। এজন্য প্রতি মাসে তার ব্যয় হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তিনি প্রায় কয়েক বছর ধরেই প্রতিদিন কুকুরদের খাইয়ে চলেছেন। যুগান্তর

এমন কাজে তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা বিরোধিতা করেছেন। তবুও তিনি পিছপা হননি। অন্যদিকে, রয়েছে প্রচুর অর্থব্যয়। তাই তিনি ব্যাংক থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।

এছাড়াও নিজের প্রায় ২ লাখ টাকার সোনার গয়না বেচে কুকুরদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও রাস্তার কুকুরগুলির চিকিৎসায় তিনি প্রচুর অর্থব্যয় করেন। তবে তিনি পথকুকুরদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

আর এ কাজ করেন ভারতের পশ্চিমকল্যাণী বি ব্লকের এমএ পাস গৃহবধূ নীলাঞ্জনা বিশ্বাস। তিনি বড় হয়েছেন খড়গপুরে। তার বাবা খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তন অধ্যাপক। পশু-পাখির প্রতি তার ভালবাসা ছোট থেকেই।

কলকাতার সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের ব্যক্তিগত সঞ্চয় তিনি ব্যয় করে চলেছেন পথকুকুরদের জন্য।

নীলাঞ্জনা বিশ্বাস সংবাদ প্রতিদিনকে জানান, পথ কুকুরদের প্রতিদিন দুপুরে মুরগির মাংস ও ভাত খাওয়ানো হয়। এজন্য তিনজন কর্মী রয়েছেন। তাদের সাম্মানিক বাবদ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কর্মী সঞ্জীব দাস টোটো চালিয়ে কল্যাণী শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে কুকুরের খাবার নিয়ে যান।

পাশাপাশি, নীলাঞ্জনা বিশ্বাস নিজের স্কুটারে করেও একইভাবে কিছু স্থানে গিয়ে খাবার দেন। কখনও কখনও মায়ের সঙ্গে যায় ছেলে আশুতোষ‌ও।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িতে কুকুরের রান্নার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। রয়েছে মাংস রাখার জন্য ফ্রিজও।

অন্যদিকে, কুকুরদের চিকিৎসার দিকটি নিজেই দেখেন নীলাঞ্জনা বিশ্বাস।

শুধু পশু নয়, দুঃস্থ মানুষকেও সাহায্য করেন নীলাঞ্জনা। কিছুদিন আগেই তিনি এক বৃদ্ধা ভিখারিকে পোশাক দিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে ভরতি করে দেন। অন্য ঘটনায় মাথায় ঘা হওয়া এক পাগলকে দু’দিন চিকিৎসাও করান তিনি। যদিও পরে ওই পাগল ব্যক্তি বেপাত্তা হয়ে যায়।

দীপাবলিতে দুঃস্থ পরিবারদের আতসবাজি, মোমবাতি, খাবার এবং পোশাক বিতরণও করেন তিনি।

নীলাঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ঋণ করেও রাস্তার কুকুরদের খাইয়ে চলেছি। কিন্তু আমি ডায়াবেটিক ও হার্টের রোগী। ভবিষ্যতে এদের কী হবে তাই নিয়ে আমি চিন্তিত। কল্যাণী পৌরসভার কাছে কুকুরগুলির পুনর্বাসনের আবেদন করে সাড়া পাইনি। যদি পৌরসভা এদের জন্য কিছু করে তবে শান্তি পাব।

 

এএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়