শেখ নাঈমা জাবীন : ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ছাড়াই শেরপুরে গড়ে উঠছে পাঁচ শতাধিক দেশি মুরগীর খামার। মুনাফা ভালো হওয়ায় এই পদ্ধতিতে খামার করে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল শেরপুরের ৩ হাজারেরও বেশি পডিরবারি। খামারিরা বলছেন, এই পদ্ধতি অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন বেকার সমস্যা কমবে, অন্যদিকে মিলবে বিষমুক্ত মুরগীর মাংস। একাত্তর টিভি, ১৪.০০
বগুড়ার শেরপুরে বাড়ির পাশেই দেশী মুরগীর খামার করেছেন সোহেল আহমেদ। খাবার হিসেবে দেয়া হয় ডাল, ধান, ভুট্টার গুড়া আর ঘাস। শুধু সোহেল নয়, কম পুঁজিতে ভালো মুনাফা হওয়ায় তারমতো অনেকেই ঝুঁকছেন এই পেশায়। গড়ে উঠেছে ৫শরও বেশি খামার। আর এই আয় থেকে স্বচ্ছলভাবে চলছে ৩হাজারেরও বেশি পরিবার। দেশিয় মুরগীর খামারের এই মডেল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন শেরপুরের প্রানিসম্পদ বিভাগ।
বগুড়ার প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যেই আমার অন্যান্য উপজেলায়ও দেশি মুরগী বানিজ্যিকরূপে বাড়ানোর উদ্যোগটি শুরু হয়ে গেছে।
বসে নেই সফল খামারিরাও। এখানকার যুবকদের স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করছেন তারা।
শেরপুর উপজেলার ভেটেরিনারী সার্জেন ডাঃ মো. রায়হান বলেন, এই প্রকল্পে বাংলাদেশের সরকার যদি পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে দেশের দারিদ্রতা এবং বেকার সমস্যা দূর হবে।
প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এই পর্যন্ত ৬টি দেশিয় মুরগীর খামার স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি মাসে বাড়ছে খামারির সংখ্যাও। সম্পাদনা : রাকা চৌধুরী
আপনার মতামত লিখুন :