আমিন মুনশি : সর্বশেষ নবি মুহাম্মদের (সা.) যুগে যে ঐতিহাসিক ওকাজ মেলা ছিলো সেটি আবারও শুরু হয়েছে। পবিত্র নগরী মক্কার হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য ‘ওকাজ মেলা’ বাদশাহ সালমানের উদ্বোধন করার কথা থাকলেও এবার তা উদ্বোধন করেছেন মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল।-আল আরাবিয়া
মঙ্গলবার ওকাজ মেলা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের মন্ত্রী, কূটনীতিকগণসহ সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি ফর ট্যুরিজম এন্ড কালচারের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং পর্যটন মৌসুমের জন্য গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ আল-খতিব উপস্থিত ছিলেন।
ওকাজ মেলা যদিও প্রাক ইসলামি যুগে নৈতিকতা ও সামাজিক কুসংস্কারের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু সে সময় ওকাজ মেলায় বসতো কবি-সাহিত্যিকদের আসর। তৎকালীন সময় সাহিত্য পাঠ, কবিতা আবৃত্তি, বাগ্মিতা এবং কাব্যপ্রেম ছিলো অন্যতম সামাজিক রীতি। মূলত এ কবিতা আবৃত্তি ও বাগ্মিতাকে কেন্দ্র করেই মক্কার অদূরে অবস্থিত ওকাজ নামক স্থানে এ মেলার সূচনা হয়েছিলো। ওকাজ মেলায় কবিতা ও সাহিত্যের যে আসর বসতো তার ওপর কবি ও সাহিত্যিকদের বিজয়ী ঘোষণা করে সে জন্য পুরস্কার বিতরণ করা হতো। বিজয়ীদের কবিতা ও সাহিত্যগুলো বর্তমান সময়ের দেয়ালিকার মতো পবিত্র কাবা ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হতো।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা (এসপিএ)-এর বরাতে জানা যায়, মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল ওকাজ মেলার উদ্বোধন করেন। হারিয়ে যাওয়া জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষা এবং আরব সভ্যতা, কবিতা, সাহিত্য কলা, সংস্কৃতি এবং ইসলামের ইতিহাসের প্রতি প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সালের গভীর নজর রয়েছে। কালচারাল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আল-খতিব বলেন, ‘এবারের ওকাজ মেলা অতীতের মতো নয় বরং এবারের এ উৎসবের উপস্থিতি সংখ্যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে।’
এবারের ওকাজ মেলায় বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনের পাশাপাশি আরব বিশ্বের সংস্কৃতি ও সৌদি আরবের বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবারগুলিও সরবরাহ করা হবে। মেলায় ১১টি আরব দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়াও ইয়ুথ অফ এক্সিলেন্স, ফারসান ওকাজ, ভাষা আর্ট গ্যালারী, সংগীত গ্যালারী, বাড়ি তৈরির প্রদর্শনী, হোটেল ক্যাফে ও ২৮০০ লোকের বসার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিশাল থিয়েটারও থাকবে এ মেলায়।
আপনার মতামত লিখুন :