আনোয়ার হোসেন : ভালুকায় অর্থকরী ফসল পাম চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের কুল্লাব গ্রামের আনোয়ার হোসেন ফকির। তিনি স্থানীয় রাজৈ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য। তার এ সফলতা কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষিকে খাপ খাইয়ে নিতে প্রচলিত কৃষি থেকে কৃষকদের নির্ভরতা কমিয়ে আনাতে পাম চাষ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে জানা যায়, ভালুকার প্রত্যান্ত অঞ্চল রাজৈ ইউনিয়নের কুল্লাব গ্রামে ১০ বছর আগে আনোয়ার ইসলাম ফকির ১০ একর জমিতে ১ হাজার পাম গাছের চারা রোপণ করেন। কোটি টাকা ব্যয়ে গড়া বর্তমানে এই বাগানের সবকটি গাছের কাদিতে এখন থোকায় থোকায় পরিপক্ক ফল। ৩বছর ধরে এ বাগানে ফলনকৃত পাম ফল থেকে উৎপাদিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পাম তেল। বর্তমানে সবকটি গাছে ফল ধরাতে এবং নিজস্ব পাম ওয়েল প্রসেসিং প্লান্ট না থাকায় এ ফলন কাজে লাগাতে পারছেন না কৃষক আনোয়ার হোসেন ফকির।
সফল কৃষক মো. আনোয়ার ইসলাম ফকির বলেন, আমার বাগানের পাম থেকে উৎপাদিত তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা তেলের চেয়ে বহুগুণে উন্নত। এবছর বাগানে প্রায় ৪শত টনেরও অধিক ফল ধরেছে। কিন্তু আহরণ করা হচ্ছে। এ ফল পরিশোধনের মাধ্যমে দ্বিগুণ পাম অয়েল পাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমানে আমার বাগানে নিজস্ব পাম ওয়েল প্রসেসিং প্লান্ট না থাকায় এ ফলন আমি কাজে লাগাতে পারছিনা। মাঝে মাঝে স্বল্প মূল্যে পাম ফল কিনে নিতে আসে দেশের বিভিন্ন ওয়েল ফার্ম প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওইসব প্রতিষ্ঠানের পামফল ক্রয় নিয়মিত না থাকায় ও কম দাম হওয়ায় আমার বাগানের অনেক ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি কোনো ব্যাংক ঋণ পাইনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বাদশা জানান, আনোয়ার ফকির আমার পরিষদের ইউপি সদস্য। আমার দাবি সরকার তার এ সফলতা আমলে নিয়ে তাকে সহায়তা করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ বৃহৎ বাগানটি সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে রাষ্ট্রিয় সম্পদে পরিণত হবে।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জানান, এই অঞ্চলের মাটি পাম চাষবান্ধব। চাষের পরিসর বাড়ানো হলে ও সেই পাম থেকে তেল উৎপাদন করলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। ব্যাপকভাবে পাম চাষ করা গেলে বিদেশ থেকে পাম তৈল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :