মোহাম্মদ মাসুদ: চামড়া শিল্পকে বিপাকে ফেলতে চামড়া কিনে রাস্তায় ফেলে রেখেছে বিএনপি। সম্প্রতি শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ মাহমুদ হূমায়ুনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ইদানিংকালে টেলিভিশনগুলোতে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় তুলনামূলক কম। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় এবং দায়িত্বশীল নেতারা এমন এমন কথা বলেন যে বিনোদনের আর প্রয়োজন হয়না।
একাত্তর টিভির সংবাদ সংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের ইতিহাসে দেখা যায়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে বলা হয় আমরা ওয়েট ব্লু নয় ব্লাড রপ্তানি করছি। সেটাকে বন্ধ করে স্টেপক্রেশ চামড়া রপ্তানি করা হলে দ্বিগুন লাভ হবে। পরে দেখা গেল, চামড়াকে ফিনিশিং করে রপ্তানি করলে আয় আরও ৪-৫ গুন বৃদ্ধি পাবে। সেটাকেও বিএনপি সরকার কার্যকর করেছে। আর বিএনপি সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। এখন এ দায়টা বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দমন পীড়ন এবং অপমানিত করার জন্য।
আলাল বলেন, চামড়া নিয়ে সংকটের মূল কারণ দায়িত্বহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা। একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে মুক্তি পাওয়ার প্রবণতা। আমাদের চামড়া গুলোর বেশিরভাগই চলে যায় লিল্লাহবডিং, এতিমখানা, মাদরাসায়, গরীব ও অসহায়দের জন্য।
কিন্তু এ চামড়া শিল্পটাকে নিজেদের পুঁজি বানিয়ে সরকারের আনুকূল্য পাওয়া যারা, তারা এটি সাজিয়েছেন। ট্যানারি মালিকদের কাছে সরবরাহকারী যারা টাকা পাওনা আছেন, সবগুলোকে পেন্ডিং রেখে তরিখিরি কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত দেয়া আবার সেটা বাতিল করা। অর্থাৎ যাচ্ছেতাই স্বেচ্চাচারিতা চলছে। যেখনে কোন সমন্বিত কর্মকান্ড নেই।
সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :