মুসবা তিন্নি : যব একটি শস্য বা বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি গম জাতীয় একধরনের শস্য দানা যা স্বল্পজীবী ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে শীতকালে সীমিত পরিমাণে এর চাষাবাদ হয়। যবের ছাতু খুবই উপাদেয় খাদ্য। তবে যবের ছাতুর প্রচলন বাংলাদেশে নেই। গম আর যব উভয় একই পরিবার ভুক্ত। তবে স্বাদের দিক থেকে যব কিছুটা নোনতা এবং উষ্ণ প্রকৃতির। গমের স্বাদ মিষ্টি মিষ্টি এবং ঠান্ডা ধরনের। যবে রয়েছে মালটোজ, গ্লুকোজ, স্যাকারিন, লেসিথিন, এল্যানটয়েন, এমাইলেস এবং ভিটামিন-বি। উইকিপিডিয়া
যবের অনেক ব্যবহার রয়েছে। গবাদি পশুর জন্যে প্রধান খাদ্য হিসেবে যব ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যবের দানা বিয়ার ও অন্যান্য পানিয় তৈরি করার প্রধান উপাদান। যব বিভিন্ন রকম সুষম খাদ্য প্রস্তুতে উপাদান হিসেবে দেয়া হয়। স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত এলাকায় খাবার সুপ ও স্ট্যু তৈরিতে এবং যবের রুটিতে যবের দানা বা গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। ২০০৭ সালে, বিশ্বের মোট উৎপাদিত শস্যপণ্য মধ্যে পরিমাণের (১৩৬ মিলিয়ন টন) দিক থেকে ও চাষের জমির (৫৬৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার) পরিমাপের দিক থেকে যব ছিল চতুর্থ অবস্থানে।
গবাদি পশুর জন্যে মুল খাদ্য হিসেবে যবের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যবের দানা বিয়ার ও অন্যান্য পানিয় তৈরি করবার জন্য প্রধান উপাদান হিসেবে কাজে লাগে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম সুষম খাদ্য প্রস্তুতে যবকে উপাদান হিসেবে দেয়া হয়। স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত এলাকায় খাবার সুপ ও স্ট্যু তৈরিতে এটির ব্যবহার আছে। যবের রুটিতে যবের দানা বা গুঁড়ো কাজে লাগানো হয়।
যবের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যব প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং অজীর্ণ রোগ যাকে ইংরেজীতে ডিসপেপসা (বদহজম) বলে, যা এক ধরণের পেটের পীড়া তা দূর করতে এবং নিরসনে সহায়তা করে। গরমের সময় মাত্রাতিরিক্ত গরমের আঘাতে নানান শারীরিক সমস্যা নিরসনে প্রতিষেধক হিসেবে যব কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
বিশ্বে মোট ১৩৬ টি দেশে যব উৎপাদন হয়ে থাকে । তবে ২০০৭ সালে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে যব উৎপাদিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব উৎপাদন ছিল ১৪৮,৮১৮,৮৭০ টন। এর পর থেকে সারা বিশ্ব যব উৎপাদনের পরিমাণ কমে গেছে। সম্পাদনা : আহসান/রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :