শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাঁচা চামড়া নিয়ে ট্যানারিশিল্প মালিকদের খেলাধুলা!

রবিউল আলম : বিশ্বের আধুনিক চামড়া শিল্পের সঙ্গে আমাদের শিল্প কোনোক্রমেই টিকে থাকতে পারছে না, ভবিষ্যতে পারবে কিনা জানি না। বিদেশিদের চামড়ার ফিনিশিংয়ের সাথে আমরা তুলনাই করতে পারছি না। তাদের চামড়ার জুতা বিক্রয় হয় ত্রিশ হাজার টাকায়, আর আমাদের জুতা কতো টাকায় বিক্রি হয় তা সবারই জানা। আমাদের অনেক লেদার প্রডাক্ট কোম্পানি আছে, যারা বিদেশ থেকে চামড়া আমদানি করছেন। বিদেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা আমাদের কাঁচা চামড়া একটি ফিনিক্স চামড়ার চেয়েও বেশি মূল্য দিয়ে নিতে আগ্রহী। এতে দেশের মানুষ কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত দাম পাবে, চামড়া ব্যবসায় প্রতিযোগিতা ফিরে আসবে, ট্যানারি মালিকদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে, অসাধু সিন্ডিকেট সরে পড়বে, আবার রাজপথে আন্দোলন করতে হবে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি বন্ধ করার জন্য।

ট্যানারিশিল্পের বিকল্প শিল্প তারা নামে, বেনামে করে নিয়েছে। এখন চামড়া শিল্পের দায় শুধু সরকারের, কিছু বললেই বন্ধ করে দেবো এমন ভাব তাদের। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরলতা, বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন ট্যানারি শিল্পের মালিকরা। এমন কোনো বিষয় নেই, এমন কোনো খেলা নেই যা তারা খেলেননি। সর্বশেষ খেলায় চামড়া পঁচে গেলো, কম দামে চামড়া ক্রয়ের আশায়, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের শিক্ষা দেওয়ার আশায় এখন আম ও ছালা সবই গেলো। দেশ হারালো বৈদেশিক মুদ্রা, এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। সরকার, জনগণ ও ট্যানারিশিল্পের মালিক কেউই রক্ষা পাবেন নাÑ এই ক্ষতি থেকে। কোনো ব্যবসা প্রতিযোগিতা ছাড়া হয় না। রাম-রাজত্ব পেয়েছিলেন, অনেক নাটক করেছেন কোরবানির চামড়া নিয়ে। কাঁচা চামড়া পাচার হয়ে গেলো, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম বাড়িয়ে দিলেন, ...পুলিশকে অযথাই ব্যবহার করে দেশের সকল চামড়া ঢাকায় আনা হতো। ঢাকার আড়তদার দিয়ে কম দামে চামড়া ক্রয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হতো এবং হচ্ছে। সরকার, মিডিয়া সভা ও আলোচনার জন্য সিন্ডিকেটের সদস্যদেরকে নিয়েই এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূল্য সমস্যা বলার জন্য যারা কাঁচা চামড়ার সমস্যায় আছেন, তাদের কথাগুলো নীরবেই থেকে গেলো। না চাইতেই অনেক কিছু পাওয়াতে সরকারের মূল্যায়ন করতে পারেননি অনেকে। নয় মাসে স্বাধীনতা অর্জন করায় স্বাধীনতার মূল্যায়ন আমরা কজন করতে পেরেছি? ট্যানারি মালিকদের এবার তার চেয়েও বেশি কষ্ট করে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানির অনুমতি নিতে হবে। অঙ্গীকার করতে হবে, চামড়া রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কাঁচের ঘরে বসে থাকবো না, আর একটা চামড়াও পঁচতে দেবো না। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়