তপু সরকার : কোরবানির এক সপ্তাহ পরও শেরপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া বিক্রি শুরু হয়নি। এমনিতেই গত কয়েক বছরের কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকা ট্যানারী মালিকরা পরিশোধ না করায় বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তার উপর এবারও কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে তারা চরম আর্থিক ক্ষতি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর শহরের ১০ থেকে ১২ জন চামড়া ব্যবসায়ী সারা বছর ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছে লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি করে থাকেন। গত ৩-৪ বছর ধরে ওইসব ট্যানারী মালিকদের কাছে শেরপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। ঢাকার অনেক মালিক পাওনা টাকা বাবদ চেক প্রদান করলেও ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় সেসব চেক সংশ্লিষ্ট আদায়কারী ব্যাংক থেকে ফেরত আসছে। ফলে দীর্ঘদিনেও পাওনা টাকা না পাওয়ায় শেরপুরের মালিকরা চলতি বছর চামড়া কিনতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে ঋণ করেছেন। কিন্তু গত শনিবার থেকে ঢাকার ট্যানারী মালিকদের লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেনার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেরপুরের ব্যবসায়ীরা কারও কাছ থেকে সাড়া পাননি বা চামড়া বিক্রি শুরু হয়নি। ফলে ওইসব ব্যবসায়ীরা লবণ দিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঁচা চামড়া তাদের গুদামে মজুত করে রেখেছেন এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকার বিশিষ্ট কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী আব্দুল জলিল বলেন, ঢাকার ট্যানারী মালিকেরা বিগত বছরগুলোর পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দেওয়ায় এবারও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রেখেছেন। কিন্তু বকেয়া টাকা পরিশোধ করাতো দূরের কথা, ট্যানারী মালিকরা চামড়া কেনার ব্যাপারে কোনো যোগাযোগ করেননি বা তাদের কোনো প্রতিনিধিকেও এখানে পাঠাননি। এতে তারা বিপাকে পড়েছেন এবং চরম আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তিনি এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সম্পাদনা: আমিন মুনশি
আপনার মতামত লিখুন :