সুজিৎ নন্দী : স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্পের কাজ ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে।২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের বেইজমেন্ট পার্কিং এর ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ফুলের মার্কেট ভেঙ্গে ফেলতে বলা হয়েছে। শাহবাগ থানা দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই থানা সরিয়ে ফেলা হবে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের যে গতি আগামী বছর জুন মাসে শেষ হবে। সম্প্রতি কাজেও এসেছে ধীরগতি। আগামী বছর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আগে কাজ শেষ হচ্ছে না।পাশাপাশি তৈরি হবে অত্যাধুনিক শিশুপার্ক। সরেজমিনে পার্ক পরিদর্শন ও স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্প উদ্ধতন কর্মকর্তারা এতথ্য জানান।
সূত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী পার্ক স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পে ৫টি ধাপে কাজ হচ্ছে। ৫শ’ গাড়ি রাখার জন্য বেইজমেন্টে গাড়ি পাকিং এবং একটি আবাসিক ভবন তৈরি হচ্ছে। যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই পাশে ওয়াটার বডি ও ফেয়ারা তৈরি করা হবে। অন্যপাশে ভূ-গর্ভস্থ আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।যার প্রাথমিক কাজ চলছে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে।পুরো কাজটি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একাধিক কাজ শেষ হয়েছে। তবে এ কাজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।
বর্তমানে ফুলের মার্কেটের পেছন থেকে শাহবাগ থানার শেষ পর্যন্ত শিশুদের বিনোদনে জাতীয় শিশুপার্ক তৈরি হবে। পরিকল্পিত ভাবে স্থায়ী ভাবে ছোট ছোট ফুলের দোকান তৈরি হবে। যারা বর্তমানে ফুলের দোকান আছে তাদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। শিশুপার্কটি তৈরির পরে এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে কোন মন্তব্য করেন নি।
সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে ভাঙ্গার কাজ চলছে। বর্তমান প্রকল্পের কাজে চারপাশে টিন দিয়ে ঘেড়া। ভেতরে মাটি কাটার কাজ শেষ হয়েছে। ভাঙ্গা রাইডগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, দ্রæতই ভাঙ্গা হবে ফুলের মার্কেট আর শাহবাগ থানা। ভাঙ্গার জন্য পুরো প্রস্ততি তাদের আছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক এ, কে, এম, সোহরাওয়ার্দী বলেন, নতুন রাইড ও পুরানো রাইড সংস্কার করে বিশ্বমানের শিশুপার্ক তৈরি হবে। নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, ১৯৭৯ সালে শাহবাগে শিশুপার্কটি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮৩ সাল থেকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে ১৫ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠা এ পার্ক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছে ডিএসসিসি। শিশু পার্কটিতে ১২ টি রাইড, যেখানে একটি খেলনা ট্রেন, একটি গোলাকার মেরি গো রাউন্ড রাইড ও একাধিক হুইল রাইড ছিলো। ১৯৯২ সালে এ পার্কে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সৌজন্য হিসেবে একটি জেট বিমান দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :