স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল নিশ্চিত হয়েছে ভারতের প্রধান কোচ। আগের কোচ রবি শাস্ত্রীতেই ভরসা রেখেছে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন কোচ নিয়োগ কমিটি (সিএসএ)। বিরাট কোহলিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মাইক হেসন, টম মুডি, ফিল সিমন্স, লালচাঁদ রাজপুতরা।
তবে সবাইকে পেছনে ফেলে শাস্ত্রীকেই প্রধান কোচ হিসেবে রেখে দিয়েছে ভারত। ফলে, বাংলাদেশের কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়াটাও কিছুটা সহজ হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন।
স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর থেকেই প্রধান কোচ খুঁজছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন সাবেক প্রোটিয়া কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। গত ১৪ আগস্ট বিসিবিতে হেসনের সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো নির্ধারিত দিনে হেসন আসতে না পারলে তার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। নামিদামি কোচদের পছন্দের তালিকায় ভারতের পরই আছে বাংলাদেশ। তাই দ্রুতই কোচ নিয়োগ দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বিসিবির সামনে।
পরিসংখ্যানের মাপকাটিতে ডমিঙ্গোর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে হেসন। নিউজিল্যান্ডকে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। তার তত্ত্বাবধানে ৫৯টি টোয়েন্টির মধ্যে শতকরা ৫০ শতাংশের (৩০ জয়, ২৪ হার) বেশি সাফল্য পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের কোচ হিসেবে চাকরির মেয়াদ ছিলো হেসনের। তবে টুর্নামেন্টের অনেক আগেই পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করেন তিনি। এবার আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোচিং করানোর আগ্রহ জন্মেছে তার। এর ফলেই ভারত এবং বাংলাদেশের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :