মারুফুল : মাদারীপুর থেকে রাজধানীতে দুই সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিতে এসেছিলেন স্বাস্থ্য সহকারী তপন কুমার মণ্ডল। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনে চিকিৎসা সেবা দিতে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিলো। এছাড়া ডেঙ্গুতে চাঁদপুর, মাগুরা ও ঢাকায় এক শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ জনে। সময় টিভি
মাদারীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত তপনের মৃত্যুতে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা অধিদপ্তরের ডিজির নির্দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১২৬ জন স্বাস্থ্য সহকারীকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এরমধ্যে মাদারীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২৯ জুলাই ঢাকায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর ও জুরাইন এলাকায় চিকিৎসা সহায়তা দিতে স্থানান্তর করা হয় তপন কুমার মন্ডলকে। চিকিৎসা দিতে এসে নিজেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ঈদের আগের দিন বাড়ি চলে যান তিনি। পরে সেখানে সেদিন বিকেল থেকেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও ১৪ আগস্ট তাকে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেলে আনা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মাগুরা সদরে নিজ বাড়িতে জয়নাল আবেদীন শরীফ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকা অবস্থাতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হন শরীফ। পরে ঈদের ছুটিতে মাগুরা গেলে ১০ আগস্ট তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে গতকাল বাড়িতে নিয়ে ঢাকায় আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্বজনরা। তবে এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতেই মারা যান তিনি।
এদিকে চারদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় দুই বছরের শিশু রাজ চৌধুরীকে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। সে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. নির্মল কান্তি চৌধুরীর ছেলে। এ নিয়ে শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯ শিশুর মৃত্যুর হলো।
আপনার মতামত লিখুন :