আহমেদ শাহেদ : খেলার বাইরে তোশকের (ম্যাট্রেস) ব্যবসা করে এবার যত কামিয়েছেন স্টিভ স্মিথ, আগে কখনো অত কামাননি! শুধু কোটিপতি বললে বোধ হয় কম বলা হবে। ১২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে কত কোটি টাকা হয়? হিসাব বলছে, প্রায় সত্তর কোটি টাকার মতো। সারা জীবন ক্রিকেট খেলেও এত টাকা একসঙ্গে কামাননি অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। কিন্তু ২০১৫ সালে এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে একটি ম্যাট্রেস কোম্পানির দশ শতাংশ শেয়ার কেনার সুবাদে আজ ঠিক অত টাকারই মালিক হয়ে গেছেন তিনি। প্রথম আলো
চমকপ্রদ এই তথ্যটি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ। বহু আগে থেকেই ‘কোয়ালা ম্যাট্রেস’ এর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন স্মিথ। এমনকি নিজের ব্যাটের পেছনেও এ কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নামেন। মুখপাত্র হওয়ার পাশাপাশি ২০১৫ সালে কোম্পানিটির দশ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিলেন এই তারকা, এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে। সেই বিনিয়োগে লাভের গুড় এত দিনে এসে খাচ্ছেন স্মিথ।
জানা গেছে, গত চার বছরে দুই লাখেরও বেশি ক্রেতাক ম্যাট্রেস বিক্রি করেছে কোয়ালা। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফলে গত জুলাইয়ে কোম্পানিটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি। আর স্মিথের লভ্যাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা প্রায় সত্তর কোটি টাকায়। সব মিলিয়ে স্মিথের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে, যা তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় তুলে এনেছে। গত বছর বল টেম্পারিং কাণ্ডে এক বছর নিষিদ্ধ থাকার কারণে স্মিথের উপার্জনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক ও বোর্ড থেকে পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর মতো বেতন পাননি। কিন্তু কোয়ালা থেকে পাওয়া এ লভ্যাংশ স্মিথের সে দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে।
কোয়ালার সহপ্রতিষ্ঠাতা মিচ টেলর অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি আগেই জানতেন এত লাভ করবেন, ‘আমার মনে পড়ে স্মিথ যখন আমাদের টাকা দিয়েছিল, স্মিথের এজেন্ট আর তার বাবা-মা কে বলেছিলাম, এমন কিছু একটা হবে।’
টেস্ট আঙিনায় ফিরেই অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন স্মিথ। মাঠ ও মাঠের বাইরে, স্মিথেরই তো এখন সুসময়! সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :