হ্যাপি আক্তার : চট্টগ্রামে চামড়ার দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় আড়তদাররা। অন্যদিকে, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আড়তদারদের কারসাজিতে কেনা মূল্যও পাচ্ছেন না তারা। ডিবিসি নিউজ ৯:০০।
ট্যানারি মালিকদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করতে না পারলে হুমকির মুখে পড়বে চামড়াশিল্প।
চট্টগ্রামে চামড়ার আড়তদারদের এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ছিলো সাড়ে ৫ লাখ পিস। এরইমধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৩ লাখ চামড়া।
আড়তদাররা বলেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা না বুঝেই বাড়তি দামে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে, বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলেন, ৪’শ টাকায় চামড়া কিনে সেই চামড়া আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ২’শ থেকে আড়াইশো টাকায়। বাজার সমিতির একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এখানে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
চট্টগ্রামে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আড়তদারদের অভিযোগ, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে চামড়া কিনতে হয়েছে ট্যানারি মালিকদের কাছে সে দামে বিক্রি করতে হবে।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়ার আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম জানে না, কি দামে বিক্রি যাবে এবং কত স্কয়ার ফুট আসবে তাও জানে না।
চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি থাকলেও এখন চালু আছে মাত্র ১টি। ট্যানারি না থাকায় লোকসান এড়াতে, এমনকি বাকিতেও ঢাকার ট্যানারিগুলোতে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন আড়তদাররা। এই সুযোগ নিয়ে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা গত দুই বছরে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চামড়া পাচারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়ার আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে না পারি এবং ব্যাপারিরাও যদি নির্ধারিত দামে কিনতে না পারে, তাহলে চট্টগ্রাম থেকে এবার প্রচুর চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এবার চট্টগ্রামে প্রায় ৪ লাখ গরু, ১ লাখ ২০ হাজার ছাগল, ১৫ হাজার মহিষ ও ১৫ হাজারের মতো ভেড়া কোরবানি হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ/মঈন
আপনার মতামত লিখুন :