শিমুল মাহমুদ : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহার ১৯২তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঈদের জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মার্কাস মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। নামাজ শেষে ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ও বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
শোলকিয়ায় প্রতিবারই ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। কোরবানির সুবিধার্থে এবার সকাল সাড়ে ৮টায় জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকাল থেকেই দলে দলে মুসল্লিরা মাঠের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন। ধীরে ধীরে প্রায় প্রতিটি কাতার পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বহিরাগতদের অনেকেই আগের দিন এখানে এসে পৌঁছান। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি বহিরাগতদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন সকালে মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ও নামাজ শেষে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দু’টি এবং এক মিনিট আগে একটি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরু পর কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, শোলাকিয়ায় এবারের জামাতে শান্তিপূর্ণভাবে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। অতি গরমে মুসল্লিদের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য প্রতিটি কাতারে পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। এছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুই প্লাটুন বিজিবি, নয় শতাধিক পুলিশ,র্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিশ্চিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
মাঠসহ প্রবেশ পথগুলোতে ছিল সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, মাঠের সার্বিক ঘটনা পর্যবেক্ষণে এবং মুসল্লিদের ওপর নজরদারি করতে দু’টি ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :