শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৫ সকাল
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরবঙ্গগামীদের ট্রেনে করে বাড়ি গিয়ে ঈদ উদযাপন অনিশ্চিত

ফাতেমা আহমেদ : রেলের শিডিউল বিপর্যয়ে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। এই অঞ্চলের কিছু ট্রেন ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে। আর এমন চললে রোববারের (১১ আগস্ট) নির্ধারিত ট্রেনগুলোর যাত্রীরা ঈদের আগে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সারাবাংলা

রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকা ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা। শনিবারের (১০ আগস্ট) সেই ট্রেন ছেড়েছে রোববার ভোর ৪টায়। নীলসাগার এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেসসহ উত্তরবঙ্গের সবকয়টি ট্রেনই কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে। আর এই দেরি কখনো ২০ ঘণ্টাও ছাড়াচ্ছে।

রোববার সকাল থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো সেগুলোর প্রতিটিই দেরিতে ছাড়বে। ফলে বহু মানুষের গ্রামের বাড়ি গিয়ে ঈদ উদযাপন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে যারা রোববার বিকেলের পরে যাওয়ার টিকিট করেছিলেন তাদের পৌঁছতে পৌঁছতে ঈদের পরদিন হতে পারে।

আর এই অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়েছে নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস, বনলতা, একতা, লালমনি, সুন্দরবন, পদ্মা, সিল্কসিটি ট্রেন। এমনকি সকালের ট্রেন কখন আসবে সে তথ্যটিও জানাতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাত ১১ টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের। সেটি এখনও স্টেশনে আসেনি। কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীরা যেন অসীম সময় ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন। ট্রেনটি কখন আসবে বা আদৌ আসবে কি না সেটুকু তথ্যও দিতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ।
ফলে এসব যাত্রীদের বেশিরভাগেরই ঈদে বাড়ি যাওয়া অনিশ্চিত।

তবে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, কেউ টিকিট দিয়ে টাকা ফেরত নিতে পারেন।

রেল মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, ‘একই রুটে অনেকগুলো ট্রেন চলছে। একটি আরেকটিকে ‘ক্রসিং’ দিতে গিয়ে সময় বেশি লেগে যাচ্ছে। অন্যদিকে ট্রেনে যাত্রী বেশি থাকায় সেগুলো তুলনামূলক ধীরে চলছে। এসব কারণেই ট্রেনগুলো দেরিতে পৌঁছছে, ফলে ছাড়ছেও দেরিতে।’ তবে যাত্রীরা চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে পারেন বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়