আমিন মুনশি : আজ পবিত্র হজের দিন। ‘বহু বছর ধরে আমার কল্পনায় ছিলো হজ করার। আমি ভাবতাম, জীবনে কখনো হজে যেতে পারবো কিনা! আমার ভাগ্যে এই সৌভাগ্য হবে কিনা! এখানে আসার পর আমার মনে হচ্ছে, আমি এখন স্বপ্ন দেখছি না তো? সারাজীবন পুলিশে চাকরি করে এতো টাকা উপার্জন করতে পারিনি যে, হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমলটি করতে পারবো। অবসরের পর সঞ্চয়ের টাকা মিলিয়ে দেখার পর আবার স্বপ্ন বুনতে লাগলাম, আমি হজ করতে যাবো। আরাফার ময়দান দেখবো।’ জাবালে রহমতের ছায়ায় উর্দু নিউজের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন পাকিস্তানের ওকারা শহর থেকে আগত হাজি আবদুস সামাদ খান।
আরাফার ময়দানে এখন সারাবিশ্ব থেকে আগত হাজি সাহেবগণ অবস্থান করছেন। হজের একটি বড় রুকন আরাফার ময়দানে জড়ো হওয়া। এটি আরাফার ময়দানের পাশের একটি পাহাড়। যা সারা বছরে মাত্র এই একদিন ব্যবহৃত হয়। হাজি আবদুস সামাদ বলছিলেন, ‘আমি সবসময় চিন্তা করতাম- জীবনে কখনও কী যাওয়া সম্ভব হবে আল্লাহর ঘরে। আল্লাহর মেহমান হয়ে! আজ আমার কাছে মনে হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার দোয়া কবুল করেছেন। আমার প্রতি রহমত দান করেছেন।’
শিয়ালকোর্ট থেকে আগত আরেকজন হাজি কারি আবদুল জলিল বলেন, ‘আজকের দিনে আমি বিশ্বের সকল মুসলমানের ঐক্য এবং শান্তির জন্য দোয়া করছি। গত বছর ওমরা করার জন্য এখানে আসার সৌভাগ্য হয়েছিলো। ওই সময় আমি দোয়া করেছিলাম, আল্লাহ পাক যেন আমাকে ফরজ হজ আদায় করার তাওফিক দান করেন। আল্লাহর শোকর, এ বছরই আমার হজ করার সুযোগ হয়ে গেলো।’ হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে কারি আবদুল জলিলের বক্তব্য, এখানে লাখ লাখ হাজি একত্রে অবস্থান করে থাকেন। তাই এখানের শৃঙ্খলা যতো ভালো হবে, ততোই সবার কাছে আপনারা প্রশংসিত হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :