মঈন মোশাররফ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে যে, ইল্লিগ্যাল ট্রেসপাস যাতে না হয়। তবে আমরাও বলেছি, বর্ডারে ইলিগ্যাল ট্রেসপাস হতেই পারে। ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে যে অংশটায় কাটাতারের বেড়া নেই এখন পর্যন্ত, বাকি রয়েছে, সেখানে তারা বেড়া দিতে চায়। আমরা বলেছি, যেভাবে তারা বেড়া দিয়ে আসছে সেভাবে দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ডয়চে ভেলে
শুক্রবার ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত সফরে আগরতলা বিমানবন্দরকে জমি দেয়ার বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কিছু অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে, যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে তা দুই পক্ষ বসে ঠিক করে নেবে। মাদক নিয়ে আলাচনা হয়েছে। তারা বলেছে, ইয়াবা তাদের দেশেও ঢুকে যাচ্ছে এবং আমাদের সহযোগিতায় এটা তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা সহযোগিতা করছে, এটা বজায় রাখতে বলেছি, তারা রাজী হয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে আরো সহায়তা দেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ডায়নামিক লিডারশিপে বাংলাদেশ একটি নতুন উচ্চতায় চলে গেছে। তিনি এটাও বলেছেন, সব দেশেরই এটা অনুসরণ করা উচিত, কীভাবে জঙ্গি সন্ত্রাশবাদ দমন করে এই সুন্দর মডেলে তিনি দেশকে নিয়ে এসেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ভারতের কিছু করার থাকলে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মোদী। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু তার ছোটবেলা ভারতেই কাটিয়েছেন, তার অনেক স্মৃতিবিজরিত ভারত। তিনি (মোদী) বলেছেন, (বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে) আমরা কিছু করতে পারলে খুশি হবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনিও মনে করেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে। মিয়ানমার সরকারপ্রধান যখন (ভারতের) নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তখন তাকে এ বিষয়ে বলেছেন এবং প্রয়োজনে আবারো বলবেন। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও আবাসনে আপনারা সহায়তা করছেন। আসলে এদের প্রত্যাবসনে কফি আনান কমিশন যে ফমূর্লা দিয়েছেন সেটা অনুসরণ না করলে প্রত্যাবাসন হবে না, তারা গেলেও আবার ফেরত আসবেন। তখন তিনি (মোদী) বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি মিয়ানমারের সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন।
সম্পাদনা: রাজু আহসান ও রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :