কামাল পাশার চৌধুরীর ফেসবুক থেকে: এগুলোকে বলে পটকা মাছ। হাওর অঞ্চলে খুব পরিচিত। এখনই এটা ধরা পড়ার প্রধান সময়। এই মাছ খেয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তার মাঝে আমার পরিচিত জনও আছে। অথচ এটা হাওর এলাকায় সুস্বাদু মাছ হিসেবেই এক সময় খাওয়া হতো।
যারা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও জাপান গিয়েছেন সে সব দেশে হোটেলের খাবার মেনুতেও এর উল্লেখ দেখে থাকবেন।
আসলে এটা খাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু এর ভিতরে একটা 'টক্সিন গ্ল্যান্ড' বা বিষের থলি আছে। কাটার সময় এটা খুব সাবধানে ফেলে দিতে হয়। আমাদের হাওর অঞ্চলের মা চাচীরা এটা খুব ভালোভাবে পারতে বলে এটা রান্নার তখন ব্যাপক প্রচলন ছিলো। সম্প্রতি এটা কাটার পদ্ধতি অনেকেই জানে না। তাই এটা খাওয়া যায় শুনে ঐ গ্ল্যান্ডাটা না ফেলে পটকা মাছ খেয়ে অনেকেই প্রচণ্ড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।