নূর মাজিদ : সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পরেও কাশ্মীর ইস্যুতে নিজ পররাষ্ট্রনীতিতে কোন পরিবর্তন আনার অভিপ্রায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের। গতকাল শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যা নিশ্চিত করেন। একইসঙ্গে, দেশটি কাশ্মীর ইস্যুতে বিবাদমান দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহবান জানায়। খবর : দ্য হিন্দু।
কাশ্মীরের বিস্ফোরণম্মুখ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী পাকিস্তান যখন ভারতের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করছে, ঠিক তখনই ওয়াশিংটন নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। পাক-ভারত উভয়েই কাশ্মীরের সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে। এবং উভয়ের কাছেই ভূখন্ডটির অধিকৃত দুই অঞ্চল রয়েছে। শুক্রবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্তাগাস সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরাসরি না উচ্চারণ করেন। এই বিষয়ে তার বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় কাশ্মীর সংকটকে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বলে মনে করে। এই সংকট সমাধানে তারা আলোচনা করবে কিনা সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহব্বান জানাই। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। এই বিষয়ে দুই দেশ আলোচনার উদ্যোগ নিলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন দেবে।’ এসময় তিনি আরো বলেন, উভয় দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। যার ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হোক, এমনটা চায় না ওয়াশিংটন।
এদিকে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে অভিযোগ করেছেন, সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চান উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা। যার জবাবে ওর্তাগাস বলেন, ‘এটা খুবই পর্শকাতর একটি বিষয়। যা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাইনা। তবে ইতিমধ্যেই আমরা দুই দেশের সঙ্গেই মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তার দাবি, বিশ্বের যে সকল অংশে আঞ্চলিক দ্ব›দ্ব এবং সংঘাত বিদ্যমান সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকারকে সম্মান এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহব্বান জানায়। কাশ্মীর যার ব্যতিক্রম নয়। আপনারা অনেকেই কাশ্মীরি জনগণকে গ্রেফতার এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করেছেন। এবং সেই কারণেই যুক্তরাষ্ট্র চলমান পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রেখেছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :