শিরোনাম
◈ ভারতে শেখ হাসিনার ৭ মাস, যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে জনগণ ◈ যে কারণে সামরিক ফ্লাইট স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ◈ গত কয়েক দিন ধরে বেড়েছে অগ্নিদুর্ঘটনা, যে সতর্কবার্তা দিল সেনাবাহিনী ◈ লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা (ভিডিও) ◈ নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে: শ্রম উপদেষ্টা ◈ চাঁদপুরে রমজান উপলক্ষে কার্ড ছাড়াই দেয়া হচ্ছে টিসিবির পন্য ◈ অপরাধ বৃদ্ধিতে তরুণদের মনে ক্ষোভ ও বিস্ময়! ◈ সরকারি যানবাহনের চালকরা আইন অমান্য করলেই ব্যবস্থা: গণবিজ্ঞপ্তি ◈ এবার মুশফিককে নিয়ে মাশরাফির আবেগঘন পোস্ট ◈ টাকা আদায়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দেবেন আফ্রিদি, যা বললেন বিসিবিপ্রধান

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের সঙ্গে মুদ্রাযুদ্ধের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

নূর মাজিদ : এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলমান বাণিজ্য সংঘাতের আগুনের উত্তাপ বাড়িয়ে তুলতে চীনের সঙ্গে মুদ্রাযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের গত বৃহস্পতিবারের বক্তব্য এই সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে। খবর : রয়টার্স, জাপান টাইমস।

এদিন ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় মার্কিন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডলারের শক্তিশালী দর নিয়ে উদ্বেলিত হব, এটা আপানারা অনেকেই ভাবতে পারেন। কিন্তু আসল সত্য হলো, আমি মোটেই সন্তুষ্ট নই।’

এসময় ফের মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সম্প্রতি ফেড সুদের হার কর্তন করেও ট্রাম্পের রোষানল এড়াতে পারছেনা। ডলারের বিনিময় দর আরো কম করতে চান ট্রাম্প।ফেডের প্রতি চাপ অব্যাহত রেখে এসময় তিনি সুদের হার আরো না কমানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতি দোষারোপ করেন। এসময় তিনি চীনের নাম উচ্চারণ না করলেও সেই ইঙ্গিত ছিলো স্পষ্ট।

ট্রাম্প বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় ফেডের সুদের হার খুবই বেশি। যার কারণে অন্যান্য মুদ্রার চাইতে ডলার শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থায় ক্যাটারপিলার, বোয়িং... জন ডিরি, আমাদের গাড়ি এবং অন্যান্য বৃহৎ পণ্য উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে অসম বাজার প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।’

ট্রাম্প এমন সময় এই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, যখন অতি-সম্পতি ফেড ইউয়ানের বিনিময় দর সামান্য কমানোয় চীনকে মুদ্রামান কারসাজিকারি দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।এরপরেও, চীনের প্রতি চাপ প্রয়োগে সকল উপায় প্রয়োগ করতে চান ট্রাম্প। তা নিয়ে যদি নতুন করে মুদ্রা অবমূল্যায়নের প্রতিযোগিতা বা যুদ্ধ শুরু হয়, তাতেও আপত্তি নেই তার। নিজ টুইটে সেটাই যেন খুলে বললেন তিনি।

চীনের মুদ্রামান কমানোকে অস্বাভাবিক মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নিরপেক্ষ অর্থনীতিবিদ। পিটারসন ইন্সটিটিউড অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা সি. ফ্রেড বারজেস্টেন বলেন, ‘চীনকে মুদ্রামান কারসাজিকারি দেশ উপাধি দেয়া মোটেই সঠিক হয়নি। সিদ্ধান্তটি নেয়ার সময় অসৎ মনোভাব কাজ করেছে। কারণ, সত্যিকার অর্থেই দেশটি এখন পর্যন্ত মুদ্রার মান নিয়ে কোন কারসাজি করেনি।’ কিন্তু, ট্রাম্পের লাগাতার চাপের মুখে চীন এমন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়